অনেকে অনেক কথা বলেছেন কিন্তু তিনি কান না দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে ফলস্বরূপ পেয়েছেন তার শারীরিক সুস্থতা
গত জুন মাসে যেদিন প্রথম ফেরদৌসি(৫০) আমাদের চেম্বারে আসেন তখন তিনি ফ্যাটি লিভার গ্রেড-৩ তে ভুগছিলেন। প্রায় ১৫ বছর ধরে মারাত্মক শারীরিক দুর্বলতা, ক্লান্তি, খাবারে অরুচি, বমি বমি ভাব, পেটে অতিরিক্ত চর্বির সমস্যা ছিল তার। এছাড়াও ছিল IBS, শরীরে সবসময় জ্বর জ্বর ভাব থাকতো, ওনাকে মাঝে মাঝেই স্যালাইন দিতে হতো।
আমাদের কাছে আসার আগ পর্যন্ত ফেরদৌসিকে সবাই ফ্যাটি লিভার গ্রেড ওয়ান বা টুই বলেছে আলট্রাসনোগ্রামের ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু আমরা প্রথমেই সন্দেহ করি, ওনার অবস্থা কোনভাবেই গ্রেড থ্রি না হয়ে যায় না। ফাইব্রোস্ক্যান রিপোর্ট যখন পাওয়া যায় তখন ওনার লিভার CAP ৩৩৮, eKPAও দুশ্চিন্তায় ফেলার মতই। প্রচন্ড গ্যাসের জ্বালাপোড়া আর অরুচির জন্য প্রায় কিছুই খেতে পারছিলেন না তিনি।
আমরা তাকে ১মাসের জন্য ১৮ ঘণ্টার একটি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ডায়েট প্ল্যান দেই। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল তার পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমানো এবং ফ্যাটি লিভার থেকে তাকে সুস্থ করা।
আলহামদুলিল্লাহ তিনি একমাস পর আমাদের জানান তার খাবারের রুচি ফিরে এসেছে। শারীরিক দুর্বলতা অনেকটা কমে গেছে, স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম করতে পারছেন।
এরপর আরো দুই দফা ফলো আপ ডায়েট দেয়া হয় মিসেস ফেরদৌসিকে।
আলহামদুলিল্লাহ গত ২১ তারিখ ফলোআপে আমরা দেখতে পাই তার CAP-৩৩৮ থেকে ২১২ তে চলে এসেছে। এবার তার খাবারের রুচি আরো অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এখন তিনি আর শারীরিকভাবে দুর্বলতা অনুভব করেন না, কিছুক্ষণ কাজ করলেই তার মাঝে ক্লান্তি চলে আসে না। লিভারের আকার সম্পুর্ন স্বাভাবিক।
ওনার জন্য এই ডায়েট মেনে চলা ছিলো একটি বড় চ্যালেঞ্জ, কারন তিনি থাকেন চাঁদপুরের একটি গ্রামে। অনেকে অনেক কথা বলেছেন কিন্তু তিনি কান দেননি। চেষ্টা চালিয়ে গেছেন আর ফলস্বরূপ পেয়েছেন তার শারীরিক সুস্থতা। আমরা আশা করবো, ফেরদৌসী আগামী দিনগুলোতেও আরো ভালো থাকবেন ইনশা আল্লাহ।