Top

“আমরা তো অত মোটা ছিলাম না, চিনিও বেশি খেতাম না, আমাদের ডায়বেটিস হল কেন?”

Sajal’s Diet Falsafa / Diabetes  / “আমরা তো অত মোটা ছিলাম না, চিনিও বেশি খেতাম না, আমাদের ডায়বেটিস হল কেন?”

“আমরা তো অত মোটা ছিলাম না, চিনিও বেশি খেতাম না, আমাদের ডায়বেটিস হল কেন?”


আমরা তো অত মোটা ছিলাম না, চিনিও বেশি খেতাম না।আমাদের ডায়বেটিস হল কেন?

এই প্রশ্নের জবাব প্রায়ই দেয়ার প্রয়োজন হয়।

সাধারনত কম ওজনের মানুষের টাইপ ওয়ান ডায়বেটিস দেখা যেত একটা সময়ে। এখন কম বা মাঝারি ওজনের মানুষের মধ্যেও টাইপ টু ডায়বেটিস দেখা যাচ্ছে অনেক।

এর মূল কারন অতিরিক্ত ভিসেরাল ফ্যাট এবং কম লিন মাস। শরীরের লিন মাস(মাসল-বোন মাস) এর তুলনায় ভিসেরাল ফ্যাটের রেশিও বেশি হওয়ার ফলে খুব দ্রুত ইন্ট্রা অর্গানিক ফ্যাটে বোঝাই হয় শরীর। মাংস-হাড়ের মোট ওজন কম হওয়ার কারনে গ্লাইকোজেন জমা রাখার জায়গা থাকে অনেক কম।(1)

এখন, রোগী যদি লাইফস্টাইল চেঞ্জ না করে পুরানো সেই হাই জিআই ডায়েট, আই মিন রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেটই খেয়ে যেতে থাকেন তখন পরিস্থিতি গিয়ে দাঁড়াবে, তিনি দ্রুতই তার দেহের ধারনক্ষমতার অতিরিক্ত গ্লুকোজ দ্বারা ওভারলোড হয়ে যাবেন। ফলে তার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাবে।

যেহেতু এডিপোসিটি বা স্থুলতা কোষের ভেতরে গ্লুকোজ প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করে, ফলে রোগী কার্বোহাইড্রেট খেলে তার ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল অল্পতেই বেড়ে যায়। এই বেড়ে যাওয়াকে প্রাথমিকভাবে বলা হয় ইম্পেয়ার্ড গ্লুকোজ টলারেন্স, (2) এরপর বলা হয় প্রিডায়বেটিস এবং শেষে গিয়ে তা রুপ নেয় ডায়বেটিসে।

প্রিডায়বেটিস/আইজিটিতে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের  ডায়বেটিস প্রিভেনশানে লাগতে পারে ৬-১২ মাস সময়। এই সময় লো কার্ব ডায়েটের পাশাপাশি ঘুম, ব্যায়াম ও ফাস্টিং করে শরীরকে মুক্ত করতে হবে বাড়তি গ্লুকোজ থেকে।

পক্ষান্তরে, যাদের শরীর তুলার মত নরম ও থলথলে, পেটের ব্যাসার্ধ সারা শরীরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ডায়বেটিস থেকে বাচার জন্য তাদের উচিত দ্রুত ওয়েট লস মিশনে নামা।

ফাস্টিং ১৬-১৮ ঘন্টা পর্যন্ত সুস্থ যে কেউ নিজে থেকেই করতে পারবেন(ডায়বেটিকদের জন্য কন্সাল্টেশন নেয়া জরুরী)। কিন্তু থেরাপিউটিক ফাস্টিং, যা ডায়বেটিসের গোড়ার কারন ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসে তা হয় ২০-৩৬ ঘন্টার। থেরাপিউটিক ফাস্টিং করার জন্য প্রয়োজন মনোবল এবং হাইলি স্পেশালাইজড রুটিন।

লো কার্ব-লো জি আইতে থাকার সহজ কিছু উপায় বলি।

১) আলুর বদলে মিষ্টি আলু
২) গমের বদলে যব
৩) সাদা ভাতের বদলে বাদামী চালের ভাত
৪) সয়াবিনের বদলে সরিষা
৫) চিনি বন্ধ

এরপর এখান থেকেই ধীরে ধীরে কমাতে হবে, বাড়াতে হবে প্রোটিন আর ভেজিটেবলস, বাদাম ও বিভিন্ন বীজ।

একসময়ে অটো লো কার্বে চলে যাবেন।

Share
admin