ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং চলাকালে কি কি ড্রিংক খাওয়া যাবে এবং কি কি খাওয়া যাবে না?
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং চলাকালে কি কি ড্রিংক খাওয়া যাবে এবং কি কি খাওয়া যাবে না এটা যদি আমরা বুঝতে যাই তাহলে আগে দিনটাকে দুই ভাগে ভাগ করতে হবে।
১) ইটিং পিরিয়ড
২) ফাস্টিং পিরিয়ড
ইটিং পিরিয়ড মানে যে সময়টায় আপনি খাচ্ছেন, ফাস্টিং মানে যে সময়টা আপনি খাচ্ছেন না।
ইটিং পিরিয়ডে আপনি যেকোন নন সুইট ড্রিংক্স খেতে পারবেন, এলকোহল ছাড়া 😛 আমার কাছে নিয়মিত/অনিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাস নিয়ে অনেকেই আসেন, ফাস্টিংও করেন, মদ্যপানও করেন, দিনশেষে ফ্যাটি লিভার জায়গারটা জায়গাতেই থেকে যায়। নো, এলকোহল পান করা যাবে না।
সেইম গোজ টু কোক এন্ড অল আদার সফট ড্রিংক্স। কোক খাবি, মানুষ হবি এটাইপের কথা যদি কেউ বলে, তাকে ডায়েট চলাকালে আপনার কাছে ভিড়তে দেয়া থেকে বিরত থাকবেন। প্লাস, ফ্রুট জুস থেকেও যথাসম্ভব দূরে থাকা ভাল কারন ফ্রুট জ্যুস ফ্রুট শ্যুগার ফ্রুক্টোজে ভরপুর।
ইটিং পিরিয়ডের হিসাব তো সোজা, কিন্তু ফাস্টিং পিরিয়ডের হিসাব অন্যরকম।
ফাস্টিং পিরিয়ডে আইমিন খালি পেটে থাকা অবস্থায় খাওয়া যাবে এমন কিছু ড্রিংকের নাম বলিঃ
১) মাচা গ্রীন টি
২) অন্যান্য সাধারন গ্রীন টি
৩) সাধারন রঙ চা(দুধ চিনি ছাড়া)
৪) ব্ল্যাক কফি(হট বা কোল্ড যেকোনটাই চলবে)
৫) এপল সিডার ভিনেগার+পানি/লেবু পানি
৬) লেবুর শরবত (চিনি ছাড়া)
৭) এলোভেরার জ্যুস
৮) আমলকির গুড়া দিয়ে বানানো শরবত
৯) করল্লা-টমেটো-বাধাকপি-ব্রক্কোলির রস দিয়ে বানানো চিনি ছাড়া শরবত (বলেন ইন্নালিল্লাহ)
১০) হলুদ-আদা-রসুন দিয়ে বানানো শরবত
এই ড্রিংকগুলিতে বাড়তি সোডিয়াম-পটাসিয়াম যোগ করতে সী সল্ট/পিংক সল্ট/রক সল্ট/কশার সল্ট দিতে পারেন।
প্রয়োজনে যোগ করতে পারেন চিয়া সীড বা কাঠবাদাম/আখরোট, কয়েকটার বেশি নয়।
যারা কিটো অথবা লো কার্ব করছেন, তাদের জন্য কিন্তু এই দশটার বাইরস খুব বেশি অলটারনেটিভ ফাস্টিং পিরিয়ডে থাকছে না।
কিন্তু মেডিটেরেনিয়ান/প্যালিও/হাই প্রোটিন/মডারেট কার্ব যারা করেন, তাদের জন্য এগুলোর পাশাপাশি অল্প স্বল্প ফ্রুট জ্যুস চলতে পারে, তবে তা দিনে দুই আউন্সের বেশি নয়।
আলমন্ড/কোকোনাট/কেশিউ/পিনাট/ওয়ালনাট বা ম্যাকাডেমিয়া মিল্ক চলতে পারে ইটিং পিরিয়ডে, ফাস্টিং পিরিয়ডে না।
এবং অতি অবশ্যই, সয় মিল্ক থেকে দূরে থাকুন।