ইফতারে ফল খাবেন, কিন্তু কম মিষ্টি ফল খাবেন
রমযানে আমাদের পরিবারগুলোর সামর্থ্যের একটা বড় অংশ ব্যয় হয় শুধু ফল কিনতে গিয়ে।
প্রতিদিনের ইফতার বাজেটের প্রায় অর্ধেকটা চলে যায় ফলে।
ফল হেলদি। কিন্তু আমরা বছরের পর বছর ধরে ফলের পুষ্টি উপাদানের কথা বিচার না করে শুধু দেখেছি কোন জাত মিষ্টি বেশি তাতে ফোকাস করে ফলের জাত উন্নয়ন করেছি। বাজার তাই ভরে গেছে হাইব্রিড ফলে, যাতে মিনারেল কম, ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যথেষ্ট নয় কিন্তু ফ্রুক্টোজ অনেক বেশি।
এখন ফ্রুক্টোজের বিপদটা কি?
ফ্রুক্টোজ আপনার বডি সেলে না গিয়ে সরাসরি লিভারে স্টোর হয়। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই শারীরিকভাবে খুব একটা পরিশ্রমী নন। ফলে প্রতিদিন ৩০০-৩৫০ ক্যালরি ফল খেয়ে যদি কেউ ২৫-৩০ গ্রাম করে ফ্রুক্টোজ শরীরে স্টোর করতে থাকেন, এক মাসে তিনি প্রায় ৭০০ গ্রাম ফ্রুক্টোজ লিভারে স্টোর করবেন।
লিভার ফ্রুক্টোজকে খুব সহজে ফ্যাটে পরিনত করে। এর মানে, আপনার ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
তাই, ইফতারে ফল খাবেন, কিন্তু কম মিষ্টি ফল খাবেন, সীমিত পরিমানে খাবেন। বুভুক্ষুর মত ফলের ওপর ঝাপাবেন না।
এতে বাজারে যেমন ফলের দাম নিয়ন্ত্রনে থাকবে তেমনি আপনার লিভারও ভাল থাকবে।
ইফতারে ক্ষুধা যতই লাগুক খুব বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। যত বেশি খাবেন তত বেশি ক্লান্ত লাগবে।
ছোলা খান কমপ্লেক্স কার্ব-লেগিউম প্রোটিন হিসাবে, সাথে টমেটো, গাজর খান, ডিম সেদ্ধ খান।
শরবত এক গ্লাসের বেশি না, বাকিটা পানি। পানিও অতিরিক্ত খাবেন না, দেখবেন শরীর স্লথ হয়ে গেছে।
ইফতারটাই আসলে সংযমের সবচেয়ে বড় অংশ।