কম ওজন নিয়ে হেলদি ওয়েট ও মাসল কিভাবে বিল্ড করবেন?
যাদের ওজন কম তাদের নিয়ে Arafat Riyadh ভাই হেলদি ওয়েট গেইনের কিছু ইন্সট্রাকশন দিয়েছেন। মূলত, সেগুলো ব্যায়ামকেন্দ্রিক ইন্সট্রাকশন ছিল।
ওজন কম থাকার অনেক রকম কারন থাকে। আমি কক্সবাজারে যে আড়াই বছর ছিলাম, তখন মূলত কম ওজনের নারী ও শিশুদের নিয়েই কাজ করেছি।
কম ওজনের মানুষদের বিভিন্ন ভাগে ভাগ করলে প্রায় ৮-১১টা ধরন পাওয়া সম্ভব।
সেদিকে না যাই, কথা হচ্ছে, ব্যায়াম একমাত্র উপায় না, এমনকি, কারো কারো ক্ষেত্রে ব্যায়াম ব্যাকফায়ার করতে পারে।
কম ওজনের মানুষদের ওজন বাড়ানোর আগে প্রথম ইস্যু হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। সমস্ত ইন্টারন্যাশনাল ওয়েট গেইন স্ট্র্যাটেজি শুরু হয় ইনফেকশন ও কৃমিকে ঠেকানোর মাধ্যমে। ইনফেকশন ও কৃমি(ইনফেস্টেশন) সাথে করে ওয়েট গেইন করা অসম্ভব।
এর পরের ধাপ হচ্ছে, নিউট্রিয়েন্ট শরীরে শোষন করার ক্ষমতা বাড়ানো। অর্থাৎ, রোগীর গাট নিয়ে কাজ করা।
এরপরের ধাপ হচ্ছে সুগার-স্টার্চ ও হেলদি ফ্যাট একসাথে খেতে দেয়া। এইটা মেটাবলিজমকে ট্রিগার করবে কিছুদিনের জন্য। এর ফল পাওয়া শুরু করা মাত্রই চলে যেতে হবে হেলদি হাই ক্যালরি কম্বিনেশনে।
তো যারা ওয়েট বাড়াতে চান, প্রথম কাজ হচ্ছে শরীরে কোজ ইনফেকশন থাকলে তার ট্রিটমেন্ট করা।
এরপর, চিনি-মধু মেশানো পিনাট বাটার, আম-দুধ-কলা-কাঠাল, এগুলো একসাথে মিশিয়ে খান ৮-১২ সপ্তাহ। ভাত খান আলু ভর্তা দিয়ে, রুটি খান আলুভাজি দিয়ে, পাউরুটি খান চকলেট আর কলা দিয়ে। ১২ সপ্তাহের পর, অন্য স্ট্র্যাটেজিতে যেতে হবে।
এগুলো ২৫ বছরের কম বয়সীদের জন্য।
ব্যায়ামকে খুব টেকনিক্যালি ব্যবহার করা যায়, অল্প পরিশ্রমেই হেলদি ওয়েট গেইন করা যায়। কিন্তু ভাল মাসল বানাতে হলে খাটতে একটু হবেই।
কক্সবাজারে অপুষ্টি আক্রান্ত নারী ও শিশুদের ওয়েট গেইন নিয়ে ৫০ জনেরও বেশি পুষ্টিবিদ কাজ করছেন।
ওয়েট গেইন করাটাই বড় কথা না, সুস্থ থাকাটা হচ্ছে আসল। আপনার ওজন কত তা নিয়ে দুশ্চিন্তা কমিয়ে আগে দেখেন আপনি সুস্থ ও শক্তিশালী কিনা।