কিটোন লেভেল চেক করুন
কিটো ডায়েট অনেকেই করেন, অনেক ডায়বেটিক প্যাশেন্টরাও করেন।
কিন্তু কিটো ডায়েট করার সময় তারা যে কাজটা বেশিরভাগ সময়েই করেন না তা হল নিজের কিটোন লেভেল চেক করা। এটা এবসার্ড।
আপনি গ্লুকোজ লেভেল চেক করছেন কিন্তু কিটোন লেভেল চেক করছেন না, তো আপনার কিটোন বডি কতটুকু প্রডিউসড হচ্ছে, DKA বা ডায়বেটিক কিটোএসিডোসিসের ভয় আছে কি না, সেটা আপনি কি করে বুঝবেন??
বাংলাদেশে কিটো ডায়েট করে অনেকেই উপকার পাচ্ছেন, বিশেষ ভাবে প্রি ডায়বেটিস, ওবিসিটির ট্রিটমেন্টে কিটো ডায়েট বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ব্যাপকভাবে সফলতা পেয়েছে।
কিন্তু ডায়বেটিক-রেনাল কমপ্লিকেশান যাদের আছে, তাদের জন্য কিটো করতে হলে অবশ্যই কিটোন টেস্টিং কিট ব্যবহার করা উচিত, এবং আমি সাজেস্ট করবো, কিটো যিনিই করেন, তিনি যেন কিটোন টেস্টিং কিট ইউজ করে কাজটা করেন।
কিটোন টেস্টিং কিট কিভাবে কাজ করে??
সিম্পল, আপনার প্রস্রাবে(ইউরিনে) যে এসিটোএসিটেট থাকে, কিটোন টেস্টিং কিটের সাথে থাকা পেপার স্ট্রিপের সোডিয়াম নাইট্রোপ্রুসাইডে মিশে লালচে পার্পল কালার শো করে।
স্ট্রিপের কালার যদি গোলাপি আসে, তাহলে বুঝবেন আপনার নিউট্রিশনাল কিটোসিস হচ্ছে। যখন এই গোলাপি রঙ বদলে গিয়ে ক্রমেই লালচে হতে শুরু করে, তখন নিউট্রিশনাল কিটোসিস থেকে তা ক্লিনিক্যাল কিটোএসিডোসিসে রুপ নিতে থাকে, যেটা বিপজ্জনক। (1) এটার কারনেই আসলে কিটো করে অনেক ডায়বেটিক প্যাশেন্ট ভাল থাকলেও অনেকে আবার অসুস্থও হয়ে যান কারন তারা জানেন না এটা ট্র্যাক করার বিষয়।
সো, কিটো ডায়েটের বিরুদ্ধে সারাদিন বদনাম না করে, এবং না বুঝে কিটো ডায়েট না করে, আমরা কিটোন টেস্টিং স্ট্রিপ ব্যবহার করি, ভাল থাকে। আর অবশ্যই ক্লিনিক্যাল কমপ্লিকেশান থাকলে ডায়েটের আগে ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্টের সাথে কথা বলুন।
হ্যাপি নিউট্রিশনাল কিটোসিস!!