Top

খাবার নিয়ে অতি আহ্লাদ নয়, আবার অবহেলাও নয়

Sajal’s Diet Falsafa / Success Stories  / খাবার নিয়ে অতি আহ্লাদ নয়, আবার অবহেলাও নয়

খাবার নিয়ে অতি আহ্লাদ নয়, আবার অবহেলাও নয়

রুমানাকে প্রথম যেদিন চেম্বারে দেখি, তখন সে ক্লাস নাইনে পড়ে, ৫ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতায় ওজন ১২০ কেজি। অতিরিক্ত ওজনের কারনে বড় হয়ে গেছে হার্ট, লিভার আর স্প্লিন। ব্লাড সুগার ঘোরাফেরা করছে প্রিডায়বেটিক রেঞ্জে, সহপাঠীরা বুলিইং করে দেখে রুমানা ছেড়ে দিয়েছিল স্কুল।
সে তখন দিনে ৮-১০ বার খাওয়া দাওয়া করতো, খাওয়া কমানো যাচ্ছিল না কোনমতেই। একটুক্ষন না খেয়ে থাকলেই প্রচন্ড ক্ষুধায় মাথা ঘুরতে শুরু করতো।
রুমানার সাথে এসেছিলেন তার মা। আমি রুমানার আলট্রা, লিপিড প্রোফাইল, থাইরয়েড প্রোফাইল দেখে সিদ্ধান্ত নিলাম, তাকে আরো কিছু টেস্ট করাবো।
ওজন বাড়ার সাথে সাথে আমাদের টিস্যু লেভেলে ভিটামিন ডি আটকাতে থাকে, ফলে ব্লাড লেভেলে ভিটামিন ডি কমে যায়। এই ঘটনাটা রুমানার ক্ষেত্রেও ঘটেছিল, তার ভিটামিন ডি ছিল ১০ এর নিচে। খাবার পর ইনসুলিন থাকতো ১০০ এর কাছাকাছি, ইন্সুলিন রেজিস্ট্যান্স ছিল ২১, এই ১৫ বছর বয়সেই!!
শুরু হল তার ডায়েটারি ম্যানেজমেন্ট। প্রথমে তার ক্ষুধার গোষ্ঠী উদ্ধার করা হল, এরপর দূর করা হল দুর্বলতা, এই ৮ সপ্তাহে ওজন কমলো কেবল ২.৫ কেজি। ৩য় মাস থেকে প্রোলংড ফাস্টিং এর সাথে লো কার্ব, তারপর কিটো করতে শুরু করলো মেয়েটা, ওর সপ্তাহে ২ কেজি করে ওজন কমতে শুরু করলো।
তার ৬ মাস পর রুমানার ওজন এসে দাড়ালো ৭২ কেজিতে। র‍্যান্ডম ইনসুলিন লেভেল নেমে এলো ১২তে, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ইন্ডেক্স আসলো ৪ এ। ব্লাড সুগার নিয়মিত থাকে ৪.৫-৫ এর মধ্যে, ভিটামিন ডি-৭০-৮৫ তে ঘোরাফেরা করে।
আমাদের লক্ষ্য রুমানাকে ৫২ কেজিতে নিয়ে আসা, ইনশা আল্লাহ আর ৬ মাস সময়ের মধ্যেই তা সম্ভব হবে।
সে এখন স্কুলে যায়, রাতে নিয়ম করে ঘুমায় আর দিনে দুটো করে মিল নেয়।
বাচ্চাদের মাঝে মাঝে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করা শেখান, পেইজের ভিডিও সেকশনে ভিডিও আছে দেখে নিন।
খাবার নিয়ে অতি আহ্লাদ নয়, আবার অবহেলাও নয়, কারন আপনার ছেলে বা মেয়েটার শরীর খাবারে থাকা পুষ্টি দিয়েই তৈরি হয়।

Share
sadia