গ্যাস নিয়ে আরো কিছু কথা
আমাদের গ্যাসের বাড়াবাড়ির পেছনে শুধু উলটাপালটা খাওয়া দায়ী না। সব সমস্যা খাবার থেকেই হয় ব্যাপারটা এমনও না।
গ্যাসের সাথে আছে স্ট্রেসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট না করতে পারলে কখনোই গ্যাস্ট্রিক সফলভাবে ঠেকানো যাবে না।
পাশাপাশি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি-১২ এর অভাব গ্যাসের সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে।
আরেকটা মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া আছে, হেলিওব্যাক্টার পাইলোরি, এটার ইনফেকশনে অনেক অনেক মানুষ গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। পাইলোরি শুধু গ্যাস্ট্রিক না আরো অনেক রোগের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
তবে, গ্যাসের পেছনে সবচাইতে বড় দায় সয়াবিন তেলের। আজকে বিকেলে আমি বিরাট একটা তালিকা দিয়েছি, যেগুলো গ্যাস ফর্মিং ফুড।
অনেকের পছন্দের কলা ও শসাও সেই তালিকায় পড়ায় আমার ওপর কেউ কেউ ক্ষেপেই গেছেন
বাস্তবতা হচ্ছে, সয়াবিন আর আটা-ময়দা ছাড়তে পারলে আমরা আশির দশকের গ্যাস্ট্রিকের ওষুধমুক্ত জীবনে অনেকাংশেই পৌছে যেতে পারবো।
এক গ্যাস থামাতে গিয়ে বাকি সব বাদ দিতে হবে এধরনের নীতিতে আমিও বিশ্বাসী নই।
আর প্রাকৃতিক শাকসবজিতে যত অভ্যস্ত হবেন, ততই আপনার পাকস্থলীতে এলকালাইন পরিবেশ ফিরে আসবে। দেখবেন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছেন।
আমাদের গ্রুপের Mujahidul Islam Jahid ভাই প্রায় ৫০০ বিঘার বেশি জমিতে কেমিক্যাল ফ্রি সবজি উৎপাদনের প্রজেক্ট নিয়ে নেমেছেন।
আমরা হন্যে হয়ে খুজে বেড়াচ্ছি একদম খাটি ঘানিভাঙ্গা সরিষার তেল।
এভাবেই একটু একটু করে আগানোর চিন্তা।
এই গ্রুপ মানুষকে শুধু জ্ঞান বিলানোর জায়গা হিসেবে সীমিত থাকবে না। এটা খান ওটা খান বলে সটকে পড়ার কোন চিন্তা আমাদের নাই। আমরা কাজের লোক, কাজ করার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চাই, বড় বড় বুলিতে নয়।
আমরা চেঞ্জ নিয়ে আসবো ইনশা আল্লাহ।
যে কথায় ছিলাম,
সয়াবিন তেল, সো কল্ড পাম অয়েল(বাংলাদেশে যা বিক্রি হয় তা আদৌ পাম অয়েল কিনা সন্দেহ আছে), রাইস ব্রান অয়েল সহ আনন্যাচারাল ভেজিটেবল অয়েল থেকে বের হয়ে আসেন।
আমাদের পূর্বপুরুষ হাজার হাজার বছর ধরে সরিষা খেয়ে অভ্যস্ত। আমাদের পাকস্থলীও তাতেই অভ্যস্ত।
দুই দিনের ফুটানির আধুনিকতা আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির কাস্টমার বানিয়েছে।
এখন সময়, আদিতে ফেরার।