চাইল্ডহুড ওবিসিটি: যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যে ভয়াবহতা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারনে বাচ্চারা ডিপ্রেসড হয়ে যাচ্ছে, এবং পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চাইল্ডহুড ওবিসিটি।
বাচ্চার মায়েরা আজকাল এই ব্যাপারটায় দেরিতে হলেও নজর দিচ্ছেন, আলহামদুলিল্লাহ।
চাইল্ডহুড ওবিসিটির প্রধান কারন বাইরের খাবার খাওয়া এবং খেলাধুলা না করা।
বাচ্চাদের মুটিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে হলে বাজারে হাত দিন। ঘরের বাইরে তৈরি কোন খাবার বাসায় ঢোকাবেন না, এবং ঘরে কেক, পাস্তা, সেমাই, নুডলস টাইপ খাবার বানাবেন না।
চটপটি, হালিম, ঝালমুড়ি, আচার টাইপ স্ন্যাক্স বাচ্চাদের খাওয়া শেখান।
চাইনিজরা পৃথিবীর সবচেয়ে স্লিম জাতি ছিল, কিন্তু ফাস্টফুড-আমেরিকান বেকারি এসে তাদের বাচ্চাদের ওবিসিটি রেইট মাত্র ৩০ বছরে ১৪০০% বাড়িয়েছে।
তাই, ঘরের বাজারে হাত দিন। বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই আমরা অনেকে চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত করে ফেলি, যার ফলে বড় হয়ে তারা শাকসবজিতে হাতই দিতে চায় না।
অনেক মায়েরা অভিযোগ করেন চিনিযুক্ত খাবার ছাড়া তার বাচ্চারা কিছুই খেতে চায় না, সারাদিন এটা ওটা খায় তারপরেও দুর্বল থাকে, আবার খেতে চায়।
এগুলি ডায়বেটিসের উপসর্গ।
বেশি খেয়ে বাচ্চা যদি চটপটে আর স্লিম থাকে, বুঝবেন এটা ঠিক আছে। বাচ্চার চোখ, ফুসফুস আর পা তার সাক্ষী দেবে। সুস্থ বাচ্চাদের চোখ থাকে বুদ্ধিদীপ্ত।
এখন সময়টা এমন, অসুস্থ হওয়া সহজ, সুস্থ থাকা কঠিন। কম বয়সে বাচ্চাকে কার্ব এডিক্ট বানানো মানে লাইফটাইম মেডিসিন বিল টানার প্রস্তুতি নেয়া।