চাই মানসিকতার পরিবর্তন
বাংলাদেশে আসলে সেভাবে মোটা মানুষ নেই।
আই মিন, ১২০+ কেজি ওজনের মানুষ বাংলাদেশে তেমন পাওয়া যাবে না।
বাংলাদেশে আসলে সেভাবে মোটা মানুষ নেই।
আই মিন, ১২০+ কেজি ওজনের মানুষ বাংলাদেশে তেমন পাওয়া যাবে না।
কিন্তু বাংলাদেশে পাওয়া যায় ৭০ কেজি বডি ওয়েটের মধ্যে ৩০%-৩৫% বডি ফ্যাট সম্পন্ন পুরুষ এবং ৪০%-৪৫% বডি ফ্যাট সম্পন্ন নারী।
দ্যাটস হোয়াই, BMI বা বডি মাস ইনডেক্স নিয়ে হিস্টিরিয়া এবং লো ক্যালরি ডায়েট বাংলাদেশের জন্য একেবারেই সঠিক এপ্রোচ নয়, বিশেষভাবে মেয়েদের জন্য তো একেবারেই নয়।
বাংলাদেশের মানুষ আমেরিকানদের মত ৪-৫ হাজার ক্যালরি দিনে খায় না, এই বেইসিকটা গত চল্লিশ বছরে এদেশের প্র্যাকটিশনারদের এক বিরাট অংশ বুঝতে সক্ষম হন নি। ফলে তারা বিএমআই নিয়ে সচেতনতা তৈরি করেছেন এবং এর ফলে একটা লো ক্যালরি ডায়েটের কালচার তৈরি হয়েছে।
এই কালচার আখেরে সবচেয়ে বেশি ফলো করছে ১৩-২৭ বছরের মেয়েরা। বিয়ের পর খুব কমই লো ক্যালরি ডায়েট ফলো করা যায়, ইটস ইমপ্র্যাক্টিক্যাল।
ডায়বেটিস রোগীদের জন্য লো ক্যালরি এপ্রোচ শর্ট রানে কাজ করে, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই রোগী আপনার দেয়া নিয়ম ভাঙতে শুরু করবে তার শরীরের চাহিদার কারনে। তার ওপর, মাসল লস হবে, এবং বিএমআর কমে যাবে। ফলে ব্লাড সুগার আরও আনকন্ট্রোল্ড হবে।
এই বাস্তবতাগুলো কেন অনেকে বুঝতে পারেন না, আমরা জানি। বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব কম শিক্ষক আছেন যারা বায়োকেমিস্ট্রি-ফিজিওলজি স্টুডেন্টদের মাথার ভেতরে ঢুকিয়ে দিতে পারেন। যেহেতু আমাদের পড়াশোনা মুখস্ত নির্ভর, আমরা মুখস্ত সমস্যার মুখস্ত সলিউশান বের করে অভ্যস্ত।
বাংলাদেশের প্যাশেন্ট বাড়তি বডি ফ্যাট পার্সেন্টেজের সমস্যায় ভোগে মূলত লম্বা সময় ধরে শারীরিক পরিশ্রমে অনভ্যস্ত থাকার ফলে, এবং হাই কার্ব রিফাইন্ড জিএমও ফুড-ট্রান্সফ্যাটের সাথে এক্সপোজারের জন্য।
এগুলো থেকে যে হরমোনাল ইমব্যালেন্স ঘটে, তারই ফলাফল অতিরিক্ত চর্বি।
আমি আমার প্যাশেন্টদের লো ক্যালরি ডায়েটে রাখি না। আমার প্রথম টার্গেট থাকে, শরীরে নিউট্রিশনাল ডেফিসিয়েন্সি থাকলে সেটাকে দূর করা। তখন প্যাশেন্ট ফিজিক্যালি এক্টিভ হয় এবং প্রবলেম সলিউশানে বেশি কনফিডেন্ট ফিল করে।
একজন মানুষকে দ্রুত ফল এনে দেয়াই সাফল্য না। সাফল্য হচ্ছে দীর্ঘদিন ফলাফল ধরে রাখা৷ আর এজন্য চাই মানসিকতার পরিবর্তন। ৩ মাসে ২০ কেজি ফ্যাট লস করে পরের ৭-৮ মাসে আবার ২৫ কেজি ফ্যাট গেইন করা আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত না। কিন্তু এটাই ঘটে যখন আমরা অতিদ্রুত সাফল্য পেতে গিয়ে নিজের মানসিকতার পরিবর্তন না করি।