চিন্তা করুন নিজেদের জীবনযাত্রা নিয়ে
প্রতিদিন গন্ডায় গন্ডায় জেস্টেশনাল ডায়বেটিস আর মিসক্যারেজের ঘটনা শুনে নিজেরই হতাশ লাগে মাঝে মাঝে।
প্রতিদিন শুনি ইরেক্টাইল ডিজফাংশন/প্রিম্যাচিউর ইজ্যাকুলেশান/স্পার্ম কাউন্ট কম থাকায় বিচ্ছেদের ঘটনার কথা।
প্রতিদিনই শুনি সিস্ট থেকে হওয়া ইনফার্টিলিটির কারনে ভেঙ্গে যাওয়া সংসারের গল্প, প্রচন্ড মুড সুইং সামলাতে না পেরে পরিবার-স্বামী-আত্মীয় স্বজন সবার কাছে শত্রু হবার গল্প আর শরীরে ভয়ানক রকম অবাঞ্চিত লোমের কারনে হওয়া ডিভোর্সের গল্প।
আবার প্রায়ই শুনি গ্রেট থ্রি ফ্যাটি লিভারকে জয় করার গল্প, ৭০ বছরের কাছাকাছি বয়সে এসে মাসল বিল্ড করার গল্প, স্পার্ম মরফোলজি ৯০% ডিফেক্ট থেকে স্বাভাবিকে আসার গল্প।
সবচেয়ে বড় পার্থক্য তৈরি করে দেয় আমাদের মানসিকতা। আমরা হারবো কি হারবো না, আমরা কাকে অনুসরন করার সিদ্ধান্ত নেবো, কোন গাইডলাইন ফলো করবো, কতদিন লেগে থাকবো, এটাই গড়ে দেয় পার্থক্য।
আমাদের জিনেটিক্সের ওপর আমাদের হাত নেই, ওটা তাকদ্বীর। কিন্তু যা আমরা বদলাতে পারি, সেটা হচ্ছে আমাদের অভ্যাস, আমাদের জীবনযাত্রা।
আপনি, আমি, আমরা যদি দ্বিতীয় দলটাই থাকতে চাই, আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে নিজেদের জীবনযাত্রা নিয়ে।
এককালে সুস্থভাবে বেচে থাকা ছিল সহজ, আর এখন অসুস্থ হওয়া হচ্ছে সবচেয়ে সহজ। ভেজাল আর দুষনে ভরা এই পৃথিবীতে একটা সুন্দর জীবন পেতে সামান্য সুস্থতার জন্যই আপনাকে করতে হবে বেশ খানিকটা কষ্ট।
এই কষ্টটাকে মেনে নিন হাসিমুখে।
জয়ের হাসিটা আপনারই হবে ইনশা আল্লাহ।