Top

ডায়বেটিক পেশেন্টদের হাই ইন্টেন্সিটি ইন্টারভাল ট্রেইনিং এবং ওয়েইট লিফটিং

Sajal’s Diet Falsafa / Diabetes  / ডায়বেটিক পেশেন্টদের হাই ইন্টেন্সিটি ইন্টারভাল ট্রেইনিং এবং ওয়েইট লিফটিং

ডায়বেটিক পেশেন্টদের হাই ইন্টেন্সিটি ইন্টারভাল ট্রেইনিং এবং ওয়েইট লিফটিং

  1. বিশ্বব্যাপী খুব কম সংখ্যক প্র‍্যাক্টিশনাররাই ডায়বেটিক প্যাশেন্টদের ৩০-৬০ মিনিট হাটাহাটি ও হালকা ব্যায়ামের বাইরে কিছু করতে বলেন।

নিউ ডায়বেসিটি (ডায়বেটিস+ওবিসিটি) মডেল অনুসারে টাইপ টু ডায়বেটিস রোগীদের একটি বিরাট অংশ ক্রনিক হাইপারইনসুলিনেমিয়া ও ইন্সুলিন রেজিস্ট্যান্সে ভোগেন।

ক্রনিক হাইপারইনসুলিনেমিয়া হচ্ছে রক্তে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি ভা স্বাভাবিক মাত্রার বর্ডারলাইন উচ্চমাত্রায় ইনসুলিনের উপস্থিতি। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হচ্ছে সেই অবস্থা যখন রক্তে থাকা ইনসুলিন গ্লুকোজকে আর কোষের ভেতরে নিতে পারে না। এই দুটো অবস্থার সম্মিলিত ফলই সাধারনত টাইপ টু ডায়বেটিসে এসে দাঁড়ায় যার ফলে রক্তে থাকা গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়।

রক্তের প্লাজমাতে থাকা সুগার বা গ্লুকোজ সহজেই ওঠানামা করতে পারে। কিন্তু রক্তে থাকা মোট হিমোগ্লোবিনের একটা অংশের সাথে গ্লুকোজ রাসায়নিক বন্ধন তৈরি করে। এই গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিনগুলিকেই যখন মাপা হয় তখন তাকে আমরা বলি HbA1C।

HbA1C হচ্ছে গড়ে তিন মাস সময়ের মধ্যে রক্তের কত শতাংশ লোহিত কনিকা গ্লাইকেটেড হয়েছে তার একটা পরিমাপ। এটা ৫.৭% এর বেশি হলে তখন তা ধীরে ধীরে প্রথমে প্রি ডায়বেটিস ও এরপর ৬.৪% এর বেশি হলে ডায়বেটিসে রুপ নেয়। কিন্তু এই পর্যায়ে আসার আগে বহুদিন যাবত হাইপারইনসুলিনেমিয়া ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স রোগীর দেহে বজায় থাকে।

ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ২০০৭ সালে প্রকাশিত ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার হিউম্যান নিউট্রিশন সেন্টার ফর এইজিং, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া এবং ইউনিভার্সিটি অফ বোস্টনের যৌথ অংশগ্রহনে করা এক গবেষনার প্রাপ্ত ফল থেকে জানাচ্ছে, হাই ইন্টেন্সিটি ইন্টারভাল ট্রেইনিং এবং ওয়েইটলিফটিং বয়োবৃদ্ধ টাইপ টু ডায়বেটিস রোগীদের ইন্সুলিন সেন্সিটিভিটি বাড়ায়, মাসল কোয়ালিটি বাড়ায় এবং হাইপারইনসুলিনেমিয়া, গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন লেভেল এবং গড় ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে।

তাই নিউ ডায়বেসিটি মডেল অনুযায়ী আমরা এখন রোগীদের সুযোগ পেলেই হাই ইন্টেন্সিটি ইন্টারভাল ট্রেইনিং এবং ওয়েইট লিফটিং করতে পরামর্শ দেই। একদম কম করে ২ কেজি থেকেও যদি কেউ পারেন, শুরু করতে চেষ্টা করুন। এটা করতে তেমন কষ্ট হবার কথা না।

তবে, যাদের মেরুদন্ডে সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ/ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ ছাড়া ওজন না তোলার অনুরোধ থাকবে।

আমার ধারনা, দেশের অফিসগোয়িং ডায়বেটিক প্যাশেন্টদের প্রায় ৯০% এর পক্ষেই ওয়েট লিফটিং করা সম্ভব। এতে সময় কম, ফল আসে দ্রুত।

তো, শুরু করে দিন না!!

Share
admin