প্যাশেন্টস ডায়েরি: পর্ব – ৫
আব্দুল জলিল আংকেল হতে পারেন সবার জন্য এক তাজা অনুপ্রেরনা।
ভদ্রলোকের বয়স ষাটেরও বেশি, তিনি যখন আমার কাছে প্রথম আসেন, সমস্ত বায়োমার্কারের অবস্থাই লেজেগোবর, প্রচন্ড জয়েন্ট ইনফ্ল্যামেশান, গেটে বাত, ডায়বেটিস, ভিটামিন ডি আর ম্যাগনেসিয়াম ডেফিসিয়েন্সি মিলে তাকে একেবারে জবুথবু করে ফেলেছিল।
দুই মাস ডায়েট করে এই বয়সেও আংকেল ওজন কমিয়েছেন ৯ কেজি, এসময় তিনি আর্থ্রাইটিসের কারনে তেমন কোন ব্যায়ামই করতে পারেন নি।
জলিল আংকেলের মেয়ে, স্ত্রী নিয়মিতই ওনাকে ডায়েট ভাঙ্গতে বলেন, তার বাড়ির পাশে বারবার বিয়ে হতে থাকে, তিনি সমস্ত দাওয়াত এড়িয়ে যান, তার একটাই কথা, সুস্থ তাকে হতেই হবে।
আমি অবাক হয়ে ভাবি, এই মানুষগুলো তাদের যৌবনে কত অসাধারনই না ছিলেন!!
আংকেলের অর্ধেক অধ্যবসায় যদি সবার থাকতো, কোন ক্রনিক ডিজিজের রোগী আমার কাছ থেকে সুস্থ না হয়ে ফিরে যেতেন না ইনশা আল্লাহ।
আল্লাহ জলিল আংকেল ও তার মত রোগীদের দ্রুত সুস্থতা দিন, আমিন!!