ফ্যাটি লিভারে ভয় নয় সতর্ক থাকতে হবে ডায়েট নিয়ে
৫৫ বছর বয়সী পারভীন আন্টি মারাত্মক ফ্যাটি লিভারে ভুগছিলেন, গ্রেড থ্রি থেকে ফোরে যাওয়া ছিল কেবলই সময়ের ব্যাপার।
ওনার ওজন ছিল ৭০, উচ্চতা ৫.১ ফুট।
ফ্যাটি লিভার ছাড়াও ওনার হার্ট বড় হয়ে গেছিল, সেই সাথে সারাক্ষন ছিল মানসিক অশান্তি। উঠতে বসতে ঘরের সবাইকে বকাঝকা করতেন তিনি।
প্রথমেই ওনার বাসা থেকে বিদায় করা হল সয়াবিন তেল, সরিষার তেল, অলিভ অয়েল এল তার বদলে। শুরুতে তিনি কোন কিটো বা হাই ফ্যাট ডায়েট করেন নি।
প্রথমে ১২ ঘন্টা ফাস্টিং দিয়ে শুরু করালাম ওনাকে। ৬ মাস পর সেটা গেল ৩৬ ঘন্টায়। ৩৬ ঘন্টা ফাস্টিং ২ মাস চলার পর ওনার ওজন চলে এল ৫৩ কেজিতে, লিভারের ফ্যাটের স্তর পাতলা হয়ে লিভারটা প্রায় সম্পুর্ন স্বাভাবিক হয়ে গেল।
ওনার সার্বক্ষনিক ঝগড়া ঝাটি বন্ধের জন্য কিছু টোটকা দিয়েছিলাম, আমার ধারনা ছিল ওনার লিভার এবং গাট যথেষ্ট ফিল গুড হরমোন্স তৈরি করছে না। প্রথম দিকে ব্যায়ামই করতে পারতেন না, এখন যথেষ্ট ব্যায়াম করেন রোজ। এটা এখন ওনার লাইফস্টাইল।
আল্লাহর রহমতে পারভীন আন্টি এখন স্বাভাবিক, তবে হার্টের আকার এখনো স্বাভাবিক হতে আরো সময় লাগবে।
যাদের ফ্যাটি লিভার আছে তারা ১২-১৬ ঘন্টার মধ্যে ফাস্টিং শুরু করে দিন। পরে বাড়াতে বাড়াতে ২০ ঘন্টা পর্যন্ত নিয়ে যান, পেইজের/ইউটিউব চ্যানেলের ফ্যাটি লিভারের ভিডিও+ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর ভিডিওগুলি দেখুন।
ইনশা আল্লাহ গ্রেড ওয়ান এমনিই ভাল হয়ে যাবে। গ্রেড টু-থ্রির জন্য প্রফেশনাল সাপোর্ট প্রয়োজন হবে, তবে যাদের ডায়েট+এক্সারসাইজ নিয়ে যথেষ্ট জ্ঞান আছে তারা গ্রেড টুও বাসায় থেকেই ঠিক করে নিতে পারবেন