ফ্যাটি লিভার থেকে দূরে থাকতে করণীয়
ফ্যাটি লিভার অনেক দুর পর্যন্ত না আগালে আসলে আমরা বুঝতেই পারি না যে ফ্যাটি লিভার হয়েছে।
ফ্যাটি লিভার অনেক দুর পর্যন্ত না আগালে আসলে আমরা বুঝতেই পারি না যে ফ্যাটি লিভার হয়েছে। বাংলাদেশে ফ্যাটি লিভার সংক্রান্ত গবেষনায় সবচেয়ে কমপ্রিহেন্সিভ কাজ করেছেন ডা. শাহীনুল আলম। তার করা গবেষনায় এটা প্রমানিত হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি তিনজনে একজন ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। অবাক করা বিষয়, বাংলাদেশের গ্রামের বিবাহিত নারীদের মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত, রীতিমত ভয়াবহ তথ্য।
ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারন, লিভারকে বিশ্রাম না দেয়া। আমাদের লিভার সারাক্ষন নিউট্রিয়েন্ট প্রসেস করছে, স্টোর করছে, এবজর্ব করছে এবং প্রায় কখনোই বিশ্রাম পাচ্ছে না। এই ঘটনা ঘটেই চলে, যদি না আমরা লিভারকে বিশ্রাম দেই।
আর এই বিশ্রাম তখনই সম্ভব, যখন আমরা ফাস্টিং করি।
লিভার মূলত ট্রাইগ্লিসারাইড ফ্যাট তৈরি করে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, রিফাইন্ড স্টার্চ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড থেকে।(1)
লিভারকে বিশ্রাম দেয়ার জন্য মাসে তিনদিন ফাস্টিং করা খুবই জরুরী। এবং এই ফাস্টিংটা হওয়া উচিত অন্তত ২০ ঘন্টা, সম্ভব হলে ২৪-৩৬ ঘন্টা লম্বা।
প্রফেশনালের হেল্প ছাড়া ২০ ঘন্টা করাই নিরাপদ।
২০ ঘন্টা ফাস্টিং কিভাবে করা যেতে পারে??
বেলা ১২টায় একটা মিল নিন, বেলা ৪টায় আরেকটা।
সকাল ১০টায় একটু বাড়তি লবন দিয়ে এক গ্লাস চিনিছাড়া লেবুর শরবত, সন্ধ্যা ৬টায় এক কাপ মাচা টি, রাত ৯টায় আরেক গ্লাস লেবুর শরবত খাবেন মিলের বাইরে।
দুটো মিলই হবে ভারী, যেন খালি পেটেও শরীর থাকে সতেজ। ভারী মিল মানে, খাবারে যথেষ্ট প্রোটিন, ভেজিটেবলস ও হেলদি ফ্যাট থাকা।
পুষ্টিকর খাবার নিয়মিতভাবে অতিরিক্ত বেশি খাওয়া যায় না। আপনার শরীরের প্রয়োজন মিটে গেলে শরীর নিজেই আপনার মুখ বন্ধের ব্যবস্থা করবে।
২০ ঘন্টা ফাস্টিং পরপর তিন দিন করুন, আর সয়াবিন তেল, চিনি ও প্রসেসড ফুড থেকে দূরে থাকুন। ফ্যাটি লিভার আপনাকে ছুতে পারবে না ইনশা আল্লাহ।