ফ্যাটি লিভার হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই
ফ্যাটি লিভার নিয়ে খুবই অসুবিধায় ছিলেন জামান সাহেব।
ইউটিউবে আমার ফ্যাটি লিভারের ভিডিওগুলি দেখে তিনি বুঝতে পারলেন, এই সমস্যা থেকে এখনই বের না হলে পরবর্তীতে তাকে ভুগতে হবে।
শারীরিক সমস্যার বিবরন শুনে বুঝতে পারলাম, ফ্যাটি লিভার না শুধু, ওনার আরো বেশ কিছু সমস্যা আছে।
আমার কাছে প্রথমবার দেখানোর সময় তার ওজন ছিল ৮৯ কেজি, উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, কোমরের মাপ ৪৪, এসজিপিটি-৭৭, ফ্যাটি লিভার গ্রেড টু। এলডিএল-১৫৫, এইচডিএল-২৮, টিজি-৪৮০। ওদিকে হোমোসিস্টিন লেভেল বেড়ে ৫০ ছাড়াচ্ছে, এমন অবস্থা।
এই অবস্থায় একজন মানুষ হার্ট এটাকের মারাত্মক ঝুকিতে থাকে।
জামান সাহেবকে প্ল্যান দিলাম ৬ মাসে ২৪ কেজি ওজন কমানো, ফ্যাটি লিভার থেকে সুস্থতা এবং লিপিড প্রোফাইল, হোমোসিস্টিন স্বাভাবিক করার জন্য।
প্রথম ফলো আপে জামান সাহেব ভালই আউটপুট পেলেন, ৫ কেজি ওজন কমে গেছে এক মাসে।
দ্বিতীয়-তৃতীয় ফলো আপে ওজন কমলো না।
কিন্তু লিভার গ্রেড টু থেকে গ্রেড ওয়ানে চলে এল, হোমোসিস্টিন লেভেল কমে অর্ধেক হয়ে গেল।
এরপর জামান সাহেব যখন ৩৬ঃ১২ ঘন্টার ফাস্টিং+কার্ডিও+সার্কিট ট্রেইনিং শুরু করলেন তখন তিনি দারুন ফল পেলেন। পরের তিন মাসে তিনি টার্গেট ওয়েটে চলে এলেন।
ফ্যাটি লিভারও নেই, লিপিড প্রোফাইল ট্রাইগ্লিসারাইড-১৭২, এলডিএল-৯০, এইচডিএল-৫০। কমপ্লিট ট্রান্সফরমেশন।
হোমোসিস্টিন তখনো স্বাভাবিকের একটু বেশি ছিল, ২১, কোমরের মাপ ৩৬। আর কয়েক মাস মেইনটেইন করলে এগুলিও ঠিক হয়ে যাবে।
গ্রেড ওয়ান ফ্যাটি লিভার ঠিক হতে ৩ মাস, গ্রেড টুর জন্য ৬ মাস যথেষ্ট সময়। গ্রেড থ্রি সম্পুর্ন ভাল হতে ১ বছরের মত লাগে।
ফ্যাটি লিভার হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আপনার প্রয়োজন শুধু সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া।