Top

বিভিন্ন ডায়েটের সাইড ইফেক্টস

Sajal’s Diet Falsafa / Diet and Macro Nutrients  / বিভিন্ন ডায়েটের সাইড ইফেক্টস

বিভিন্ন ডায়েটের সাইড ইফেক্টস

১) ফ্রুট বেজড ডায়েট-নারীদের অতি প্রিয় ডায়েট

ফল খেয়ে ওজন কমানো মানে বেইসিক্যালি আপনি কিছু ফ্যাট লস করবেন, কিছু মাসল লস করবেন, তারপর ওয়েট একটা জায়গায় স্ট্যাটিক হয়ে যাবে এবং সেখান থেকে সহজে আপনি আর বের হতে পারবেন না। প্রচুর ফল খেয়ে ওজন কমানো প্রায় অসম্ভব এবং একটা সময় পর আপনি আবার ওজনটা ফিরেই পাবেন। এন্ড অফ দ্যা ডে, ফ্রুট বেজড ডায়েটে মাসল টোন এবং স্কিন টোন টিকিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব।

সাইড ইফেক্ট এড়াতে করনীয় কি??

উঃ ফ্রুট বেজড ডায়েট টানা ৪-৬ সপ্তাহের বেশি না করা।

২) লো ফ্যাট ডায়েটঃ

ফ্যাট কম খেয়ে ওজন কমানো-এটা সম্ভব, কিন্তু এর ফলাফল হিসেবে আমাদের ত্বকের বারোটা বাজে, পাশাপাশি আমরা ডিপ্রেশনে ভুগি এবং ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন ডেফিসিয়েন্সিতে ভুগতে হয় আমাদের। পাশাপাশি, সেক্স ড্রাইভের জন্যেও এটি ক্ষতিকর।

সাইড ইফেক্ট এড়াতে করনীয় কি??

উঃ লো ফ্যাট ডায়েট না করে ডায়েটে অন্তত ৩০% ফ্যাট রাখা(বিশেষ পরিস্থিতির কথা আলাদা)

৩) লো প্রোটিন ডায়েটঃ সাসটেইনেবলি ওয়েট লস করা সম্ভব না। কিছুদিন ওয়েট লস করবেন, তারপর আর পারবেন না। চুল পড়বে প্রচুর, স্কিন টোন বাজে হয়ে যাবে, মাসল লস হবে, সেক্স ড্রাইভ কমে যাবে, লং রানে কমতে পারে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা।

সাইড ইফেক্ট এড়াতে করনীয় কি??

উঃ ডায়েটে অন্তত ১৫% প্রোটিন রাখা, চুলপড়ার সমস্যা থাকলে ডায়েটের টোটাল ক্যালরির ২৫% এর বেশি প্রোটিন রাখা।

৪) লো ফাইবার ডায়েটঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে, প্রচুর পিপাসা পাবে, ডিহাইড্রেশানে ভুগতে পারেন।

সাইড ইফেক্ট এড়াতে করনীয় কি??

উঃ ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ব্যবহার করা।

৫) কিটো ডায়েটঃ কিটো এলার্জি, কিটো ফ্লু, চুল পড়ে যাওয়া, ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্স, টেম্পোরারি লস অফ বডি টেম্পারেচার, লো ব্লাড প্রেসার। কিন্তু কিটোতে প্রচুর ফ্যাট লস হয়, ফিজিক্যালি এক্টিভ না থাকলে এবং প্রোটিন কম নিলে ফ্যাট লসের পাশাপাশি মাসল লসও হয়।

সাইড ইফেক্ট এড়াতে করনীয় কি??

উঃ যথেষ্ট প্রোটিন, ফ্যাট এবং মাইক্রোনিউট্রেইয়েন্ট ডায়েট প্ল্যানে থাকছে কিনা  নিশ্চিত করা। সাথে অবশ্যই দিনে ৩০০০-৫০০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম ইনটেইক এনশিওর করতে হবে। যারা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করবেন কিটোর সাথে তাদের ম্যাগনেসিয়ামও নিতে হবে দিনে ৫০০-২৫০০ মিলিগ্রান(ব্যক্তিভেদে)।

আমার জানামতে ফ্যাট কমানোর জন্য সবচে কার্যকর ডায়েট হচ্ছে লো কার্ব ডায়েট, এছাড়াও প্যালিও, হাই প্রোটিন, মেডিটেরেনিয়ান, কার্নিভোর, কিটো ইত্যাদি বেশ কিছু ডায়েটারি টেকনিক আছে যেগুলো আসলে ওয়েট লসের জন্য চমৎকার।  এর মধ্যে প্যালিও এবং মেডিটেরেনিয়ানে সাইড ইফেক্ট সবচেয়ে কম।

প্রায় সব ডায়েটেই আপনি কিছু সাইড ইফেক্টের শিকার হবেন, একজন প্রফেশনাল নিউট্রিশনিস্ট আপনাকে ডায়েট দেয়ার সময় জানিয়ে দেবেন।

ডায়েটে সাইড ইফেক্ট যেমন আছে, সেগুলোকে মিনিমাইজ করার উপায়ও আছে।

নিউট্রিশন সায়েন্স গত ১৫ বছরে আগাগোড়া বদলে গেছে। আমরা এখন অনেকগুলো মারাত্মক রোগের নিরাময় করতে পারি থেরাপিউটিক ডায়েটের মাধ্যমে।

Share
admin