Top

মিমের সিস্ট ভালো হওয়ার স্টোরি

Sajal’s Diet Falsafa / Success Stories  / মিমের সিস্ট ভালো হওয়ার স্টোরি

মিমের সিস্ট ভালো হওয়ার স্টোরি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মিম যেদিন প্রথম চেম্বারে আসে, সেদিন তার অসহায়ত্ব দেখে তার কেইসটাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম।
ওর বয়স যখন মাত্র ১৯ বছর তখন তার চকলেট সিস্ট ধরা পড়ে। সিস্টগুলো এত বড় ছিল যে তার বাম ওভারিটা ফেলে দিতে হয়েছিল। বাকি ছিল ডান ওভারিটা। বছর দুই পরে ডান ওভারিতেও বড় বড় একাধিক চকলেট সিস্ট হয়েছিল। এই ওভারিটা ফেলে দিতে হলে ওর সন্তানধারনের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যেত। মেয়েটার বয়স মাত্র ২২ বছর তখন।
চিকিৎসকরা বরাবরের মতই নরমেন্স দিচ্ছিলেন, কিন্তু নরমেন্সের সাকসেস রেট কত শতাংশ, ভুক্তভোগীমাত্রই জানেন। স্বাভাবিকভাবেই, মিমের অবস্থা সময়ের সাথে সাথে আরো খারাপই হচ্ছিল।
মেয়েটা সারাদিন কান্না করতো, হতাশায় ভুগতো। এমন করে করে কার কাছে শুনে যেন আমার কাছে আসলো মাস ছয়েক আগে। ওর সাথে কথা বলে আমি ভাবলাম, যেভাবেই হোক এই মেয়েটার ওভারিটা আমাকে স্বাভাবিক করতেই হবে। বিয়ের আগেই দুটো ওভারি হারানো একটা মেয়ের জন্য কত হতাশার এটা যার সাথে না ঘটেছে সে কোনদিন বুঝবে না।
হরমোনাল এস্যে করে বোঝা গেল টাইপ টু লিন পিসিওএস।
ওকে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করালাম, সাথে থেরাপিউটিক ডায়েট ছিল। চললো প্রায় চার মাস।
মিমের প্রথমবারের ডায়েটে ৩৬% কার্ব ছিল, পরেরবারে ছিল ৭%।
প্রচুর হেলদি ফ্যাটস দেয়া হয়েছে ওকে, সাথে ওয়ার্ক আউট।
ফলে ওর বেলি ফ্ল্যাট হয়ে যায়, শরীরে ব্যাড ফ্যাট কমে বাড়তে শুরু করে গুড ফ্যাটের পরিমান।
গত সপ্তাহে রিপোর্ট পেলাম, ওর রাইট ওভারি সম্পুর্ন সিস্ট ফ্রি।
আলহামদুলিল্লাহ। এত ভাল্লাগছে, বলে বোঝাতে পারবো না।
পিসিওএস কিউর আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার চেম্বারে একটা রেগুলার ঘটনা। কিন্তু এই মেয়েটা ছিল স্পেশাল প্যাশেন্ট, যেহেতু ওর একটা ওভারিই বাকি ছিল শুধু, তার ওপর বেশ একাধিক বড় সিস্ট।
আল্লাহ মিমকে সুন্দর ভবিষ্যত দিক।
এই ধরনের কেস সলভ করার আনন্দই আলাদা।
আলহামদুলিল্লাহ!!

Share
sadia