রেহানা আপুর ডায়াবেটিস রিভার্সিং জার্নি
এ বছরের মার্চ মাসে রেহানা আপু প্রথম যখন চেম্বারে আসেন তখন ৫’২” উচ্চতাতে তার ওজন ছিলো ৬১ কেজি। পেশায় ব্যাংকার রেহানা আপুর লাইফস্টাইল তেমন একটা এক্টিভ ছিলো না, খাওয়াদাওয়া তেও ছিলেন না তেমন মনোযোগী। ফলে দেখা দিতে থাকে অতিরিক্ত ওজন সহ বিভিন্ন সমস্যা যেমন হাঁটু ব্যাথা, ডায়াবেটিস, লো এস্ট্রোজেন-প্রজেস্টেরন, কন্সটিপেশান, সাবফার্টিলিটি, লো লিবিডো ইত্যাদি। মার্চ মাসে আপুর ভিটামিন ডি লেভেল ছিলো ২৯.৩, HbA1c ছিলো ৬.৬।
ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্ট এর উদ্দেশ্যে আপুকে ১৬ ঘন্টার ফাস্টিং এ মডারেট ফ্যাট ও লো কার্ব ডায়েট দেয়া হয়।
এর পরের ফলো আপে আপুর HbA1c কমে আসে 5.6% এ। এবার তাকে ২০ ঘণ্টার ফাস্টিং সহ প্রায় ২৩৫০ ক্যালোরির কিটো ডায়েট দেয়া হয়।
রিসেন্টলি অগাস্ট মাসে তৃতীয় ফলো আপে আপু আসলে দেখা গেলো তার ওজন কমে হয়েছে ৫৩ কেজি, HbA1c-5.4%, Homa IR-0.95 অর্থাৎ তিনি এখন ডায়াবেটিস মুক্ত আলহামদুলিল্লাহ। সাথে মুড সুইং কমা ও অন্যান্য সমস্যারও হয়েছে উন্নতি।
বর্তমানে আপু ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল কন্ট্রোলে রাখা সহ ফার্টিলিটি বুস্টিং নিউট্রিশনাল ম্যানেজমেন্টে আছেন।
টাইপ টু ডায়বেটিস ধরা পড়ার সাথে সাথে দ্রুত ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এবং প্রয়োজনীয় নিউট্রিশনাল ম্যানেজমেন্ট নিলে অনেক ক্ষেত্রেই ৬-৮ মাসের মধ্যে টাইপ টু ডায়বেটিস রিভার্সড হয়।
আর ডায়বেটিস থেকে নিরাপদে থাকতে চাইলে প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুদিন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করুন, ঠিক সময় ঘুমান এবং নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমে গুরুত্ব দিন।