লেপটিন রেজিস্ট্যান্স কমানোর উপায় কি?
অল্প অল্প করে একটু পর পর খাওয়া এবং সারাদিন খাওয়া, এটা আমাদের দেহে একটা চক্রের জন্ম দেয়, এটাকে আমরা বলি লেপটিন ইন্ডিউসড ওয়েট গেইন সাইকেল।
লেপটিন হচ্ছে সেই হরমোন যা অস্বাভাবিক বাড়তি ওজন(ওবিসিটি) এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। সাধারনত, আমাদের অধিকাংশ ক্লিনিক্যাল এসেসমেন্টে লেপটিনকে এড়িয়ে যাওয়া হয় এবং বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়েই লেপটিন রেজিস্ট্যান্স নিয়ে পড়ানো হয় না।
বিএমআই ৩০ ছাড়িয়ে গেলে এবং তার সাথে ওয়েস্ট টু হাইট রেশিও . ৫৫ এর বেশি হয়ে গেলে, লেপটিন রেজিস্ট্যান্সকে চেক দেয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাদের টোটাল হেলথ সিস্টেম লেপটিন রেজিস্ট্যান্সকে এখনো আলোচনাতেই আনে নি।
লেপটিন রেজিস্ট্যান্স কমানোর উপায় কি?
- কিটো ডায়েট
- ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং
আমি পুষ্টিবিদ এ বি সিদ্দিক ও ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরকে এক্ষেত্রে উল্লেখ করবো। এই দুজন ব্যক্তি বাংলাদেশে প্রথম জোরেসোরে কিটো ডায়েট ও ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংকে গুরুত্ব দিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। জাহাঙ্গীর কবির সাহেব তো বিষয়টাকে রীতিমত জনপ্রিয় করে তুলেছেন।
যেহেতু কিটো ডায়েট একটানা খুব বেশিদিন করা অনেকের পক্ষেই স্বাস্থ্যকর হয় না, তাই দীর্ঘমেয়াদে লেপটিন রেজিস্ট্যান্স নিয়ন্ত্রনে রাখতে আমাদের খাবারে কমপ্লেক্স কার্ব ও সবজির পরিমান বাড়াতে হবে। ফুড গ্রুপে ঘোরাফেরা কমিয়ে, বাইরের ফ্যাক্টরি মেইড প্রসেসড ফুড বন্ধ করে খেতে হবে বাসায় তৈরি খাবার।
ডায়বেটিসের অন্যতম কারন কিন্তু এই লেপটিন রেজিস্ট্যান্সও, কিন্তু কোথাও দেখবেন এর আলাপ নেই। আরো ভয়ের ব্যাপার, লো ক্যালরি ব্যালেন্সড ডায়েট চার্টের নামে রোগীদের অভ্যস্ত করা হচ্ছে ঘনঘন খাওয়ার অভ্যাসে।