সিম্যাগ বেবি: সাক্সেস স্টোরি – ১৯
নাঈমা যখন প্রথম ফলো-আপ নিলেন তখন তার ওজন ছিলো ৪৮ কেজি, গর্ভে ১৫ সপ্তাহের শিশু সন্তান। পেট ফাঁপা, অরুচি, লো ব্লাড প্রেসার, শারীরিক দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো সাথে ছিলো লো-ব্যাকপেইন।
আমাদের লক্ষ্যে ছিলো পরের ৬ মাসে ওনার ১০ কেজি ওজন বাড়ানো এবং সাথে তিনি যেসব ছোটখাট গর্ভকালীন উপসর্গে ভুগছিলেন সেগুলোকে কমিয়ে নিয়ে আসা। শুরু হল নাঈমার সিম্যাগ জার্নি।
গত ১১ই মার্চ ৩৪ সপ্তাহে যখন নাঈমা ফাইনাল ফলো-আপে আসেন। হাতে পায়ে কিছুটা ক্র্যাম্প ছাড়া ওনার আর কোনো সমস্যা ছিলো না। আমরা আশাবাদী হয়ে উঠলাম, সম্ভবত খুব চমৎকার একটা সিম্যাগ শিশু আমরা পেতে যাচ্ছি ইনশা আল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ!! ২২তম রোজায় ফজরের সময় আপু বাসাতেই ন্যাচারাল ডেলিভারির মাধ্যমে মা হয়েছেন।
আপুর ভাষ্যমতে বাবু মাশাআল্লাহ হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে। জন্ডিস বা অন্য কোন নবজাতকের রোগের লক্ষন নেই, সুন্দর হাত পা ছোড়াছুড়ি করছে সে।
আমরা চাই গর্ভধারন ও প্রসবকে মহা দুশ্চিন্তার বিষয় থেকে স্বাভাবিক এক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াতে ফিরে যাক, যেভাবে মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছিল। সিম্যাগ প্রোটোকল অনেক মায়েদের প্রেগন্যান্সিকে সহজ করেছে, এর মাধ্যমে আরো অনেক মায়ের প্রেগন্যান্সিকে সহজ করবো আমরা, ইনশা আল্লাহ।