সিম্যাগ বেবি: সাক্সেস স্টোরি – ২০
এই কেইসটা ছিল যেন ঘড়ির কাটার বিরুদ্ধে ছুটে চলা এক সংগ্রামের মত। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু বাড়ছিল না মায়ের ওজন।
২৭ বছর বয়সী সাদিকা আমাদের কাছে প্রথম আসেন তার প্রেগ্ন্যান্সির ৬ সপ্তাহের মাথায়। ৫’৩” উচ্চতায় তখন তার ওজন মাত্র ৪৮ কেজি। সাথে কোল্ড এলার্জি, দূর্বল ইমিউনিটি, অরুচি, প্রোটিন এনোরেক্সিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিডিটি ইত্যাদি নানা সমস্যা। ৮ মাসে ১৫ কেজি ওজন বাড়ানো ও ন্যাচারাল ডেলিভারির লক্ষ্য নিয়ে তাকে সিম্যাগ প্রোটোকলে রেফার করা হয়।
১৯ সপ্তাহে তিনি দ্বিতীয় ফলো আপে এলেন। দেখা গেলো বমি, অরুচি এসবের কারনে তিনি ডায়েট ঠিকমতো ফলোই করতে পারেন নি! ওজন বেড়েছে মাত্র ১ কেজি, হিমোগ্লোবিন তখনো ১০.৪, ইএসআর ৫৮, পাচ মাসে ১৪ কেজি ওজন বাড়াতে হবে। এসিডিটি, কন্সটিপেশান, উইকনেস, রক্তস্বল্পতা, ইনফ্লামেশান এগুলো কমানোর লক্ষ্যে চলতে থাকে নিউট্রশনাল ম্যানেজমেন্ট। এবার তার ও বাবুর ওজন বাড়ানোর জন্য দেয়া হয় প্রায় ৩৫০০ কিলোক্যালোরির ডায়েট। আপু ঠিকমতো খেতে না পারলেও কষ্ট করে চালিয়ে যান ডায়েট। এর মধ্যে ঠান্ডা-কাশির জন্য তাকে থেরাপিউটিক ডোজে দেয়া হয় ভিটামিন সি। প্রেগ্ন্যান্সির লাস্ট ট্রাইমেস্টারে উনি দুইটি ফলো আপ নেন। ৩৬ সপ্তাহের সময় কিছু ইম্প্রুভমেন্টস সহ তার ওজন বাড়ে মোট ৫ কেজি। আলহামদুলিল্লাহ মায়ের ওজন কম বাড়লেও সুস্থভাবেই বাড়ছিল অনাগত শিশুটি। যেহেতু উনি অত্যন্ত হাই ক্যালোরি ডায়েটে ছিলেন তাই প্রিডায়াবেটিস ঠেকাতে তাকে একটা প্ল্যান দেয়া হয়।
আল্লাহর অশেষ রহমতে গত এপ্রিলের ৩ তারিখে ন্যাচারাল ডেলিভারির মাধ্যমেই ছেলেবাবুর জন্ম হয়। জন্মের সময় বাবুর ওজন ছিলো ৩৪২০ গ্রাম।
প্যাশেন্ট’স নোটঃ গত ০৩/০৪/২৪ তারিখে আমার ছেলেবাবু নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। সজল ভাই আপনি এবং আপনাদের টিমের সবার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া থাকবে। আল্লাহ আপনাদের অনেক সফলতা দান করুক।আমার বাবুসহ আমার পরিবারের জন্য দোয়ার দরখাস্ত। সুস্থ হলে একদিন ইনশাআল্লাহ বাবুকে নিয়ে আপনাদেরকে মিষ্টিমুখ করাতে চেম্বারে আসবো।
Welcome to the world, Dear CMag Child!!