পিল না খেলে আপনার মেন্সট্রুয়েশন হচ্ছে না?
সামনে আপনার বিয়ে, অথবা বিয়ে হয়েছে, সামনে বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন।
এখনো গড়ে ২৫-৩১ দিন সময়ের ভেতরে পিরিয়ড হচ্ছে না, রেগুলার পিরিয়ডের জন্য খেতে হচ্ছে হরমোনাল পিল। গায়ে শক্তি পান না, মেজাজ খিটখিটে থাকে, বাজে রকম মুড সুইং হয় ঘনঘন।
পিঠে, পেটে, নিতম্বে জমেছে অস্বাভাবিক চর্বি, অথবা হাত পা শুকনো কিন্তু পেট হয়ে থাকে ভারী, বান্ধবীরা দুষ্টুমি করে বলে প্রেগন্যান্ট।
আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন সমস্যাটা আসলে কোথায়?? কেন পিল না খেলে আপনার মেন্সট্রুয়েশান হচ্ছে না অথবা, পিল আপনি কবে বন্ধ করতে পারবেন, ভেবে দেখেছেন??
সফল দাম্পত্য জীবনের জন্য শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতা আর সামাজিক মর্যাদাই নয়, প্রয়োজন ফিটনেসও।
এধরনের সমস্যাগুলো প্রায়ই বিয়ের আগে গোপন করা হয়, তারপর বিয়ের পর দাওয়াতে গিয়ে গিয়ে সমস্যা আরও বাড়ে এবং যখন প্রেগন্যান্সির জন্য ট্রাই করা হয় দেখা যায় বাচ্চা হচ্ছে না বা গাইনোকলোজিস্ট বলছেন বাচ্চা নিতে গেলে ওজন কমাতে হবে। এরপর আপনারা শুরু করেন দুই বেলা রুটি এক বেলা ভাত আর ১ ঘন্টা হাটার গতবাধা ডায়েট, যা আপনার শরীরের ওজন কিছুটা কমালেও দিনশেষে হরমোনাল ব্যালেন্স আনতে পারে না।
অথচ আপনার প্রয়োজন নিজেকে হরমোনালি ব্যালেন্সড করা।
প্রেগন্যান্সি ছাড়াও, মেন্টাল-ফিজিক্যাল হেলথ, হেলদি সেক্স লাইফের জন্য, পিসিওএস-ব্রেস্ট ক্যান্সার-ওভারিয়ান ক্যান্সার থেকে বেচে থাকার জন্য বিয়ের অন্তত এক বছর আগে থেকেই ফলো করা উচিত হেলদি লাইফস্টাইল।
আগে নিরাময়ের অযোগ্য মনে করা হত এমন অনেক রোগ এখন নিরাময়যোগ্য, ডায়েট ও লাইফস্টাইলের মাধ্যমে।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংকে জানুন, লো কার্ব ডায়েট/মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট/প্যালিও ডায়েটের থেরাপিউটিক বেনিফিট নিয়ে ফিরে আসুন স্বাভাবিক জীবনে।
মেয়েদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় বিয়ের আগের ও বিয়ের পরের ৫টা বছর।
সময়টা হেলাফেলা না করে কাজে লাগান, একটা সুস্থ জীবনের জন্য এটুকু কষ্ট তো করাই যেতে পারে তাই না?