প্রেগন্যান্সির সঠিক বয়স কত?
শিশু, মা, নানী, মায়ের নানী, নানীর নানী।
এটা খুবই স্বাভাবিক দৃশ্য।
পশ্চিমে অহরহই দেখা যায়।
১৮ বছরের নিচে প্রেগন্যান্সি পশ্চিমে খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
আঠারোর নিচে মা হওয়া মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়ায় না। মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়ায় অপুষ্টির কারনে সঠিকভাবে বেড়ে না ওঠা, গর্ভাবস্থায় যত্নের অভাব এবং প্রসবকালীন স্বাস্থ্যসেবার অভাব।
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে তো বটে, শহরাঞ্চলেও মেয়েদের স্বাস্থ্য সচেতনতা ও যত্নের অভাব ভয়াবহ পর্যায়ে আছে। সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত হলে ১৫-১৬ বছরেই সুস্থভাবে মা হওয়া সম্ভব, কিন্তু পুষ্টি নিশ্চিত না হলে ২৫-২৬ এও মা হওয়া ঝুকিপূর্ণই থাকে। ইদানীং ফাস্টফুড কালচার এসে বিষয়টাকে আরো জটিল করে তুলেছে।
৩৫ এর পরেও মা হওয়া ততটা ঝুকিপূর্ণ না যতটা গত ত্রিশ বছরের প্রোপাগান্ডায় আমাদের দেখানো হয়েছে। ৩৫-৪৫ বছরেও মা হওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার, তবে ৪৫ এর পর মা হওয়া বেশ কঠিন। আনন্যাচারাল লাইফস্টাইলের কারনে নারীদের মেনোপজের সময় ক্রমেই এগিয়ে আসছে এবং এখন বিশের কোঠায়ই অনেক মেয়েদের শরীরে প্রিমেনোপজাল সিন্ড্রোম দেখা দেয়। বিষয়টা হচ্ছে বায়োলজিক্যাল এইজিং, শরীরকে বুড়িয়ে যেতে না দিলে আপনার মেন্সট্রুয়েশান স্বাভাবিক থাকবে, সন্তানের মা ও হতে পারবেন। কিন্তু ডেস্ক জব ও মডার্ন লাইফের অন্যান্য আসপেক্টস মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে জটিলতা।
প্রাকৃতিক পরিবেশে সঠিক পুষ্টিতে বেড়ে ওঠা একটা জনগোষ্ঠীতে পুরুষেরা ৮০ বছরেও প্রজননক্ষম থাকে এবং নারীরা ৬০ বছরেও থাকে সুস্থ।
আমাদের যাত্রাটা সেদিকেই, আমরা খুজে দিতে চাই সুস্থতা ও মুক্তির পথ।