সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা কি ফর গ্র্যান্টেড?
সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতাটাকে আপনি কখনো ফর গ্র্যান্টেড ভাববেন না। এটা আজ আছে, কাল থাকবে কি না কেউ জানে না। Never take it for granted.
কথাটা বিশেষভাবে বললাম, যারা প্রথম প্রেগন্যান্সিতে অনেক বেশি ডিলে করেন তাদের জন্য। প্রথম প্রেগন্যান্সি ২৫ এর আগে হওয়া জরুরী কারন অসংখ্য গবেষনায় দেখা গেছে এর চেয়ে বেশি সময় ধরে কোন ফিমেইল বডি প্রেগন্যান্ট না থাকলে তার ব্রেস্ট ক্যান্সার-ইউটেরাইন-ওভারিয়ান ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে। (1)
সেটা বাদ দিলেও, আমরা এখন প্রতিনিয়ত এসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি যেখানে প্রথম প্রেগন্যান্সিটা যাদের দ্রুত হয়েছে তারা ৮-১০ বছর পর দ্বিতীয় বাচ্চাটা সহজে নিতে পারছেন, কিন্তু যারা প্রথম বাচ্চাটা ২৮-৩৩ এ এসে নিয়েছেন, তারা দ্বিতীয় বাচ্চাটা ৩৫-৩৮ এ এসে নিতে পারছেন না, ভাল কোয়ালিটির ওভাম প্রোডাকশন হচ্ছে না বা ওভারি ওভামকে রাখছে না।
এরমধ্যে, যাদের ফাইব্রয়েডস-সিস্ট আছে, তাদের জন্য প্রপার ওভুলেশান করাটা অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না অথবা এবোরশন হয়ে যায়। এটা বলার মানে এই না যে ফাইব্রয়েডস-সিস্ট থাকলে বা বাল্কি ইউটেরাস-এনলার্জড ওভারি থাকলে সন্তান হবে না। কিন্তু, বিষয়টা কমপ্লিকেটেড হয়ে যায়।
এই রোগগুলি যেহেতু বাজে লাইফস্টাইলের সাথে এসোসিয়েটেড, তাই প্রায়শই দেখা যায় যে রোগীর লাইফস্টাইল ইস্যুর কারনে তার বায়োলজিক্যাল এইজ ৪৫-৫০ এ চলে গেছে, অথচ ক্যালেন্ডারের হিসাবে তার বয়স বড়জোর ৩২।
এই গেল একদিকের চ্যালেঞ্জ। আরেকদিকে, স্পার্ম-সিমেন কোয়ালিটি, ইরেকটাইল ডিজফাংশান, এসমস্ত সমস্যা বয়সের সাথে সাথে পুরুষদের মধ্যেও তো বাড়ে।
সব মিলিয়ে, প্রথম সন্তানটা মেয়েদের জন্য পচিশের আগে নেয়াটাই সবচেয়ে ভাল। ক্যারিয়ারের প্রথমদিকে অফিসের চাপ যেকোন ইউনিভার্সিটির চেয়ে বেশি পীড়াদায়ক, এটা প্রফেশনাল মাত্রই স্বীকার করবেন। সেদিক থেকে চিন্তা করলে বরঞ্চ ক্যাম্পাস লাইফে সন্তানের জীবনের প্রথম ২-৩টা বছর অপেক্ষাকৃত সহজে মেইনটেইন করা যায়।
জীবন নিয়ে ভাবার সময় স্রোতে ভেসে না গিয়ে মাথা খাটানো শিখতে হবে আমাদের।
জীবনের একটা সময় থাকে যখন মাদারহুডকে একটা বারডেন বা পেইন ছাড়া কিছু মনে হয় না, কিন্তু মাত্র দশটা বছর পরে সেই একই মানুষের কাছে মাদারহুড হয়ে দাঁড়ায় পরম আকাঙ্ক্ষিত এক খোদায়ী আশীর্বাদ, পরম আরাধ্য সম্পদ।
তাই, পিক ফার্টিলিটিতে থাকতে প্রথম সন্তান নিয়ে ফেলতে চেষ্টা করুন। এটা আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পরামর্শ, যেকোন প্র্যাকটিশনার বলবেন।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুটিকয়েক বাদে বেশিরভাগেই পড়ার চাপ সীমিত। শিক্ষার্থীরা প্রচুর সময় নষ্ট করে আড্ডা আর তথাকথিত কুউল সাজার পেছনে। না ক্যারিয়ার এচিভমেন্ট থাকে, না গড়ে প্যারেন্টহুড।
এরপর একসাথে ক্যারিয়ার-প্যারেন্টহুড সব নিতে গিয়ে হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়া, একের পর এক জটিলতার সাগরে ভাসা…দিস গেটস টু ডিফিকাল্ট টু ম্যানেজ।