প্রেগন্যান্সিতে জেস্টেশনাল ডায়বেটিস থেকে বাঁচার উপায়!
জেস্টেশনাল ডায়বেটিস বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার ভেতরে লুকিয়ে থাকে প্রেগন্যান্সির আগেই। যে রুপ নিয়ে এটা আপনার ভেতর লুকিয়ে থাকে তার নাম হাইপারইনসুলিনেমিয়া বা রক্তে অতিরিক্ত ইনসুলিনের উপস্থিতি।
প্রেগন্যান্সির প্রথম তিন মাসে সাধারনত মায়েরা তেমন খেতে পারেন না, তাই হাইপারইনসুলিনেমিয়া কিছুটা দমে যায়। ৪-৬ মাস সময়ের মধ্যে সাধারনত মায়েদের খাওয়া বেড়ে যায় এবং এসময়েই সাধারনত কার্বোহাইড্রেট সবচেয়ে বেশি নেয়া হয়। ফলে আগে থেকেই থাকা সুপ্ত হাইপারইনসুলিনেমিয়া ক্রমেই বাড়তে থাকে।
যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাদের সাধারনত প্রেগন্যান্সির ৫-৬ মাসে এসেই জেস্টেশনাল ডায়বেটিস দেখা দেয়। আর স্বাভাবিক ওজনের যারা, তাদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশের ডায়বেটিস হয় প্রেগন্যান্সির শেষদিকে এসে।
এখন, এই জেস্টেশনাল ডায়বেটিস থেকে বাচার উপায় সম্পর্কে একটু জানি চলুন।
১) সারাদিনে ৬-৮ টা ছোট ছোট মিল না নিয়ে ৩-৪টা মাঝারি আকারের মিল নিতে হবে।
২) মিলগুলি ৯-১২ ঘন্টার মধ্যে শেষ করতে হবে অর্থাৎ প্রথম থেকে শেষ মিলের তফাত হবে ৯-১২ ঘন্টা।
৩) যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা আগে পিসিওএস/তলপেটে বাড়তি চর্বি ছিল/আছে, তারা দুটোর বেশি মিলে কার্বোহাইড্রেট নেবেন না।
৪) কার্বোহাইড্রেট নিলে সেটা হওয়া চাই সবুজ-সাদা সবজি বা ফুল ফাইবার চাল থেকে অথবা ডালজাতীয় খাবার থেকে।
৫) পুরো মিলের প্রায় ২৫-৩০% প্রোটিন ও ২৫-৪০% হেলদি ফ্যাট রাখতে চেষ্টা করতে হবে।
৬) চিনি, গম, সয়াবিন ও অন্যান্য আনন্যাচারাল অয়েল খাওয়া সম্পুর্ন বাদ দিতে হবে।
৭) মোটেই শুধু শুয়ে বসে কাটানো যাবে না, প্রয়োজনীয় ব্যায়াম করতে হবে।
৮) যথেষ্ট ভিটামিন বি-১,২,৬ এবং ম্যাগনেসিয়াম নিতে হবে।
৯) প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ফাস্টিং ও র্যান্ডম ব্লাড সুগার টেস্ট করতে হবে এবং তার ট্র্যাক রাখতে হবে।
১০) প্রয়োজনে ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্টের সহায়তা নিয়ে ডায়েট ও লাইফস্টাইল প্ল্যান ফলো করতে হবে।
প্রেগন্যান্সি আমাদের কাছে আতঙ্কের নয়, আনন্দের বার্তা নিয়ে আসুক। নতুন প্রানের আগমন হয়ে ওঠুক ঘরে ঘরে উদযাপনের উপলক্ষ।