ইরেক্টাইল ডিজফাংশন নিয়ে জানুন
ইরেক্টাইল ডিজফাংশন যখন ২৭-৩৫ বছরের মধ্যে দেখা দেয়, তখন আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমস্যাটা হয় লাইফস্টাইল ওরিয়েন্টেড।
ড. জোসেফ ক্র্যাফটের মতে, মাঝবয়সী পুরুষদের ইরেক্টাইল ডিজফাংশান আসলে হাইপারইনসুলিনেমিয়া থেকে হয়। হাইপারইন্সুলিনেমিয়া আমাদের সারাদেহেই রক্ত চলাচলকে কমিয়ে আনে। বিশেষভাবে লিঙ্গের দৃঢ়তা ও লিঙ্গোত্থানের জন্য আমাদের দেহের মধ্যভাগ ও নিম্নাঙ্গে রক্ত চলাচল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের রক্তবাহিকার কোষগুলো বিশেষভাবে ইনসুলিন সেন্সিটিভ। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিমাত্রায় (৬০ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিটের চেয়ে বেশি) একটানা যখন ইনসুলিন লেভেল রক্তে বেশি থাকে, তখন আমাদের রক্তবাহিকার গায়ে চর্বি জমতে শুরু করে।
এই ঘটনা যেমন চোখ, কিডনী বা হৃদপিন্ডের রক্তবাহিকাতে ঘটে, একইভাবে ঘটতে পারে পা, ও লিঙ্গের রক্তবাহিকার ক্ষেত্রেও।
আমার নিজের ক্লিনিক্যাল এক্সপেরিয়েন্স বলে, ৩৫ বছর বয়সের আগে লিঙ্গোত্থান, উচ্চ রক্তচাপ ও হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়ার সমস্যায় যারা ভোগেন তাদের উল্লেখযোগ্য অংশ পরবর্তীকালে ৩-৭ বছরের মধ্যে টাইপ টু ডায়বেটিসে আক্রান্ত হন।
অর্থাৎ, আপনার ইরেক্টাইল ডিজফাংশনকে শুধু একটা সেক্সুয়াল প্রবলেম হিসেবে বুঝতে গেলে আপনি ভুল করবেন। খুব সম্ভবত, এটা একটা মেটাবলিক প্রবলেমও। আজকের ইরেক্টাইল ডিজফাংশন কাল ডায়বেটিসেও রুপ নিতে পারে অথবা বলা যায়, আগামীর ডায়বেটিস আজকে ইরেক্টাইল ডিজফাংশনের ছদ্মবেশেই আপনার চারপাশে ঘোরাফেরা করছে।