গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়ার গোশত কেন খাবেন?
গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়ার গোশত হচ্ছে মাসল পাওয়ার, স্ট্যামিনা এবং র এনার্জি তৈরির জন্য সবচেয়ে ভাল খাবার। শারীরিকভাবে দুর্বলদের এটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে সাহায্য করে ও শারীরিকভাবে শক্তিশালী যারা তাদেরকে আরো শক্তিশালী করে।
ঐতিহাসিকভাবেই, পৃথিবীতে সমস্ত বড় সাম্রাজ্য জয়ের সময় বিজয়ীদের খাবারে এই প্রানীগুলির গোশত ছিল উল্লেখযোগ্য পরিমানে, এবং পরাজিত জাতিদের খাবারে সাধারনত রেড মিটের পরিমান বিজয়ী জাতিদের খাবারের চেয়ে কম থাকতে দেখা যায়।
যেকোন জাতির সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে, মাসল পাওয়ার, এনার্জি ও স্ট্যামিনার ভুমিকা অনস্বীকার্য।
এবার বলি, কি কি কম্পাউন্ড লাল গোশত বা রেড মিটকে সামরিক শক্তি ও পেশী শক্তির উৎসে পরিনত করেছে।
১) ক্রিয়েটিনঃ পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া মাসল বুস্টিং সাপ্লিমেন্ট হচ্ছে ক্রিয়েটিন, ক্রিয়েটিন মাসল পাওয়ার বৃদ্ধির একটা ভাইটাল কম্পোনেন্ট। ক্রিয়েটিনের সবচেয়ে ভাল সোর্স রেড মিট।
২) বেটা এলানিন-মাসল ফ্যাটিগ দূর করতে বেটা এলানিন নামে একটা এমিনো এসিড কাজ করে। বেটা এলানিনের বেস্ট সোর্স রেড মিট।
৩) টরিন-টরিন হার্ট হেলথ এবং ভাল লিপিড প্রোফাইলের জন্য জরুরী। এটার বেস্ট সোর্স রেড মিট। কোলেস্টেরল থেকে পিত্ত উৎপাদনেও এর ভুমিকা আছে।
৪) গ্লুটাথায়োন-আমাদের শরীরের মাস্টার এন্টিঅক্সিডেন্ট গ্লুটাথায়োন। সাপ্লিমেন্ট আকারে বিক্রি হয় প্রচুর। একসাথে প্রচুর পরিশ্রমের পর রিকভারিতে গ্লুটাথায়োন-মেলাটোনিন দুটোরই বড় রকম ভুমিকা আছে, তবে গ্লুটাথায়োন সরাসরি জড়িত আমাদের লিভার ও কার্ডিওভাস্কুলার রিকভারির সাথে। দেহের সমস্ত রিজেনারেটিভ এক্টিভিটিকে লিড দেয় গ্লুটাথায়োন।
৫) জিংক-জিংকের সেরা ন্যাচারাল সোর্স রেড মিট৷ জিংক মাসল গ্রোথ, টেস্টোস্টেরন বুস্টিং, জিন এক্সপ্রেশন এবং বুদ্ধিমত্তার সাথে সরাসরি জড়িত জিংক। জিংক ছাড়া ভিটামিন এ কাজ করতে পারে না। হাড়ের ঘনত্ব রক্ষা এবং স্ট্যামিনা বাড়ানোতেও আছে জিংকের ভুমিকা।
হিম আয়রন, সেলেনিয়াম, ভিটামিন ই-১, কোলেস্টেরল, ভিটামিন বি-৩, ৫, ৬ ও ১২ এই নিউট্রিয়েন্টগুলিও লাল গোশতে উপস্থিত থাকে, যা ওপরে থাকা এমিনো এসিড এবং গতকালের করা এমিনো এসিডগুলিকে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত সুযোগ তৈরি করে দেয়।
এজন্য ফিটনেস রেজিমেনের লোকজন, এলিট এথলিট এবং ফাইটাররা লাল গোশত, পার্টিকুলারলি গরু ও মহিষের গোশতকে এত হাইলি রেট করেন।
একটা শক্তিশালী বাংলাদেশী জাতি গড়তে হলে আমাদের প্রচুর গরুর গোশত উৎপাদন করতে হবে এবং গোশতের দামকে সাধারন মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে আসতে হবে। যে জাতি লাল গোশত খায় না, সে জাতির মাসল পাওয়ার, স্ট্যামিনা, এনার্জি, ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট, হজম, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল হবে।
যারা মাসল বিল্ডিং করছেন, এবং যারা গর্ভবতী, তারা অবশ্যই গরুর গোশত খাবেন।