সচেতন হোন আইবিএস এর ব্যাপারে
মাত্র বিশ বছর আগেও মানুষ বলতো, উঠতি বয়সের ছেলেরা লোহা খেয়ে হজম করতে পারে। ব্যাপারটা সত্যিই তাই ছিল, এবং এখনো থাকার কথা ছিল, দুঃখজনকভাবে ব্যাপারটা তা আর নেই।
উঠতি বয়সের অনেক ছেলেই এখন একেবারে বেইসিক ফুড আইটেম খেয়ে হজম করতে পারে না। ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স, আইবিএস এখন ঘরে ঘরে। আর আইবিএস প্যাশেন্ট হচ্ছে একজন নিউট্রিশনিস্টের জন্য সবচেয়ে মুশকিলওয়ালা প্যাশেন্ট, ফুড চয়েস ডিফিকাল্টিজের দিক দিয়ে কিডনী প্যাশেন্টের পরেই তাদের অবস্থান।
আইবিএস প্যাশেন্টদের হিস্ট্রি ঘাটতে গিয়ে প্রায়ই যা পর্যবেক্ষণ করিঃ
১) প্যাশেন্ট অনেকদিন বাসার বাইরে খাওয়া দাওয়া করেছে যেখানে রান্নায় প্রচুর সয়াবিন তেল ব্যবহার করা হয়
২) অনেকেরই দিনে এক বা দুইবেলা রুটি খাবার অভ্যাস ছিল
৩) কারো কারো জীবনে একাধিক বড় ইনফেকশন হয়েছে
৪) প্রায় সবারই সপ্তাহে ২-৩ বার সফট ড্রিংক্স খাওয়া হয়
৫) অনেকেরই ফ্যাটি লিভার আছে
৬) অনেক আইবিএস প্যাশেন্টই ক্রনিক স্ট্রেস/ডিপ্রেশনে ছিলেন
আইবিএস ডায়েটের কোন সুনির্দিষ্ট প্ল্যান হয় না। একেক জনের একেক সমস্যা। কিন্তু কয়েকটা গ্রাউন্ড রুলস মানতে পারেন সবাই (তাও যে সবাইকে ফিট করবে, গ্যারান্টি নেই)।
১) দিনে ৪-৫ টা ডিম খাওয়া
২) কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে রোলড ওটস মিক্স বা আলমন্ড ফ্লাওয়ার দিয়ে বানানো রুটি খাওয়া
৩) সরিষার তেল খাওয়া
৪) কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে ডায়েটের ৩০-৪০% এ নিয়ে আসা
৫) সয়াবিন তেল ও আটার তৈরি জিনিস খাওয়া বাদ দেয়া
৬) অন্তত ২ মাস ভিটামিন বি-১২ ও ৬ মাস-২ বছর প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট নেয়া
স্মার্ট মানুষেরা বিপদে পড়ার আগেই পদক্ষেপ নেয়, আর বোকারা নেয় বিপদের পরে।