দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে স্বাভাবিক পুষ্টি নিশ্চিতে করণীয়
দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে স্বাভাবিক পুষ্টি নিশ্চিত করা খুবই কঠিন হয়ে যায়।
সাধারনত এধরনের পরিস্থিতিতে মানুষ এনিম্যাল প্রোটিন খাওয়া কমিয়ে দেয়।
এনিম্যাল প্রোটিন কিন্তু শুধু প্রোটিন সোর্স না, মনে রাখতে হবে, প্রায় সমস্ত মিনারেল ও ফ্যাট সলিউবল ভিটামিনের সবচেয়ে বায়োএভেইলেবল সোর্স হচ্ছে ডিম, মাছ ও গোশত।
দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার পর যারা পরিবার নিয়ে বাজার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন, তাদের জন্য একটা পরামর্শ দেই।
দিনে দুবেলা খাওয়া দাওয়া করুন।
এক বেলা যথেষ্ট ভাত, ডাল ও শাকসবজি। ভাত, ডাল ও শাকসবজির অনুপাত হবে ৩ঃ১ঃ২।
এই মিলটা আপনি নিতে পারেন বেলা ১১টা থেকে-১টায়।
দ্বিতীয় মিলটা নিতে পারেন বিকেল ৫টা-৭টার ভেতর।
এই মিলে যথেষ্ট বাদাম, ২টা ডিম, আলু/মিষ্টি আলু বা লাউ/পেপে থাকতে হবে।
মাঝে মাঝে গোশত, মাছ বা ফল আপনার সাধ্যমত খেতে পারেন।
কোভিডের শুরুর দিকে আমি অনেক পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছিলাম ভর্তা খেয়ে দিনে একটা বেলা পার করতে। প্রতি দিন দুটো করে ভর্তা। অনেকে চেষ্টা করেছিলেন। রান্না করার চেয়ে ভর্তায় খরচ কম এবং ভর্তা স্বাস্থ্যকরও।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব বেশি ভাল হবে সামনে তা বলা যাচ্ছে না। আপাতত দিনে দুবেলা খাবার অভ্যাস করুন, ৬-৮ ঘন্টার তফাতে।
ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকবে ইনশা আল্লাহ।