হাইপোথাইরয়েড ডায়েট টেকনিক
হাইপোথাইরয়েড প্যাশেন্টদের নিয়ে চিরাচরিত ডায়েট থেরাপি হচ্ছে তাদের কম খেতে দেয়া।
এই থেরাপিতে তাদের ওজন কমে। ৫০০-৮০০ কিলোক্যালরির ডায়েট শরীরকে ওজন কমাতে বাধ্য করে শর্ট রানে, কিন্তু আন্ডারলাইয়িং যে ইস্যু, সেই স্লো মেটাবলিজমকে এটা আরো খারাপের দিকে নিয়ে যায়।
পাশাপাশি, এত কম ক্যালরি ইনটেকের ফলে রোগী স্ট্রেস-ডিপ্রেশনে ভোগে, একটা পর্যায়ে সে অপুষ্টিতে ভুগতে শুরু করে।
যেহেতু মুড সুইং হাইপোথাইরয়েডিজমের একটা প্রায় অবিচ্ছেদ্য সাইড ইফেক্ট, রোগীর প্রায়ই ভয়ানক সুগার ক্রেভিং হয়। ওদিকে তার স্লো মেটাবলিজম কিছুতেই ফ্যাট বার্ন করতে চায় না, ৫০০-৮০০ ক্যালরির ক্লাসিক ডায়েট সময়ের সাথে সাথে তার মেটাবলিজমকে আরো স্লো করে ফেলে। অপুষ্টির কারনে রোগী বারবার খেতে চায় এবং সে শেষপর্যন্ত পুষ্টিকর খাবার না খেয়ে তার ব্রেইনের গ্লুকোজ ডিমান্ডের কারনে আবার সুগার বা স্টার্চি ভাত-রুটি-পাউরুটি-ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে শুরু করে।
হাইপোথাইরয়েডিজম যাদের, আমি তাদের দিনে প্রায় ১৪০০-১৭০০ ক্যালরির ডায়েট দেই।
শুনলে অনেকেই হাসবেন। দিস ইজ হিউজ কনসিডারিং থাইরয়েডিজম। But this is what I do with my technic.
হাইপোথাইরয়েড ডায়েট টেকনিক হলঃ
১) যথাসম্ভব গ্লুটেন ফ্রি ডায়েট
২) ধাপে ধাপে গ্রেইন ফ্রি ডায়েট
৩) ধাপে ধাপে এক্সটেন্সিভ ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং
৪) দিনে একাধিকবার HIIT
৫) প্রোপার সেলুলার নিউট্রিশন থেরাপি
ক্যালরি কাট করা শর্ট রান ট্রিটমেন্ট, নট ফর লং রান, কারন আমাদের শরীর বিদ্রোহ করে।