ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এবং রোযা মোটেই এক জিনিস না
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এবং রোযা মোটেই এক জিনিস না। সাধারন মানুষের ইংরেজী পড়ে বুঝতে না পারার ব্যাপারটাকে ম্যানিপুলেট করে বাংলাদেশে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংকে রোযা হিসেবে প্রচার করা হয়েছে।
কেউ কেউ সেহরী না করে রোযা রাখাকে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বলে মনে করাতে যে অসুবিধাটা হচ্ছে, তাদের লো ব্লাড প্রেসার হচ্ছে, হাইপোগ্লাইসেমিয়া হচ্ছে, অনেকে সেন্সলেস হয়ে যাচ্ছেন এবং যারা এটা লম্বা সময় ধরে করছেন তাদের কেউ কেউ নিউট্রিশনাল ডেফিসিয়েন্সিতে ভুগছেন।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং একটা ফাইনলি টেইলরড ডায়েটারি ম্যানেজমেন্ট টেকনিক। IF এর সাথে রোযার সবচেয়ে বড় তফাত, রোযায় রাতে খাবার সুযোগ থাকে এবং খাবারের পুরো অংশটাই খাওয়া হয় রাতে, পক্ষান্তরে, IF এ আপনার প্রায় পুরো খাবারটাই আপনি দিনে খেতে চেষ্টা করেন।
রোযার অনেক হেলথ বেনিফিটস আছে, কিন্তু যারা ওজন কমাতে চান, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং তাদের জন্য বেটার অপশন। পাশাপাশি ফাস্টিং অফিস ফ্রেন্ডলি, ওয়ার্ক আউট ফ্রেন্ডলি। আর আমি সবসময়েই ওয়াটার ফাস্টিংয়ের পক্ষে, কারন আমাদের মত ট্রপিক্যাল-হিউমিড দেশে আপনি ১৮-২০ ঘন্টা পানি না খেয়ে কাজ করতে গেলে ডিহাইড্রেটেড হবার সম্ভাবমা খুবই বেশি।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং মানে দিনের বেশিরভাগ সময় না খেয়ে থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টির মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত থেকে ওজন কমানো।
নন ডায়বেটিকরা পুষ্টিবিদ-ডাক্তারদের সহযোগিতা ছাড়া বেইসিকগুলো জেনে নিজেরাই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করতে পারবেন। কিন্তু ডায়বেটিকদের জন্য বিষয়টা অনেক সময়েই এতটা সহজ নাও হতে পারে।
কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একজন টাইপ টু ডায়বেটিক প্যাশেন্টের জন্য ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হচ্ছে এখন পর্যন্ত আসা সেরা চিকিৎসা পদ্ধতি।