ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং: যার জন্য যেটা ভাল হতে পারে
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হচ্ছে একটা টাইম রেস্ট্রিক্টেড ইটিং টেকনিক।
কার জন্য কোনটা ভাল হবে, এটা আসলে আমভাবে বলা খুবই কঠিন।
তবে সবার জন্য যেটা সহজ হতে পারে তা হচ্ছে ১৫ঃ৯ বা ১৬ঃ৮। এটা একটু চেষ্টা করলে যে কেউ করতে পারবেন।
ধরেন আপনি সকালে দিনের প্রথম খাবার খেলেন বেলা ৯টায়, আর শেষ খাবার খেলেন সন্ধ্যা ৬টায়।
তাহলে, এটা হচ্ছে ১৫ঃ৯।
এটা চাকরিজীবীদের জন্য সহজ।
চাকরিজীবীদের জন্য আরেকটা সহজ টেকনিক হচ্ছে দুপুর ১টা-সন্ধ্যা ৭টার ১৮ঃ৬ ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। আমি নিজে একসময় এটা করে প্রায় ১২ কেজি ওজন কমিয়েছি ৩ মাসে এবং এরপর ১ বছর একই ওজন ধরে রাখতে পেরেছি, কিন্তু কোমরের মাপ কমেছে প্রায় ৩ ইঞ্চি।
ওদিকে, হাউজওয়াইফদের জন্য সবচেয়ে ভাল হচ্ছে সকাল ১০টা-সন্ধ্যা ৬টার ১৬ঃ৮ ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং।
পক্ষান্তরে, আমরা যদি নন ডায়বেটিক ফ্যাটি লিভার-এবডোমিনাল ওবিসিটির প্যাশেন্টদের দেখি, তাদের জন্য সেরা হবে ১৮ঃ৬-২৪ঃ১২।
মানে আঠারো ঘন্টা খাবেন না, ছয় ঘন্টা খাবেন, সেটাকে মোডিফাই করে এক পর্যায়ে ২৪ ঘন্টা খাবেন না, তারপর ১২ ঘন্টা খাবেন, তারপর আবার ২৪ ঘন্টা খাবেন না।
এটা আপনাকে ম্যাক্সিমাম ফ্যাট লস করাতে সাহায্য করবে।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করার সময় যথেষ্ট প্রোটিন খেতে হয় ও শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়, অন্যথায় আপনার শরীর মাংসপেশী হজম করতে শুরু করে।
ডায়বেটিক প্যাশেন্টদের মধ্যে যারা ইনসুলিন নেন না, তারা ১৬ঃ৮ দিয়ে শুরু করে ৩৬ঃ২৪ এ যেতে চেষ্টা করবেন, অবশ্যই ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্টের সহায়তা নিয়ে। ৩৬ঃ২৪ এ ৩৬ ঘন্টা না খেয়ে থাকবেন, পরে ২৪ ঘন্টা খাবেন। ৬-১২ মাস করার পর আপনার টাইপ টু ডায়বেটিস ভাল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি, ইনশা আল্লাহ।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের মূল উদ্দেশ্য লিভার ও প্যানক্রিয়াসকে অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট বা এক্টোপিক ফ্যাট থেকে মুক্ত করা, এটা মাথায় রাখা চাই। (1)
কিন্তু ফ্যাটমুক্ত হতে গিয়ে পানিশুন্য হওয়া যাবে না, পিপাসা পেলেই কিছুটা পানি খেয়ে নিতে দ্বিধা করবেন না।