ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কী? কেন করবেন?
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কি এবং কেন করবেন জানতে চাইলে এই লেখাটা পড়তে পারেন।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং আসলে কোন স্পেসিফিক ডায়েট না, এটা একটা ইটিং সিস্টেম। এই সিস্টেমে আমরা দিনের একটা সুনির্দিষ্ট সময়ে খাই এবং অন্য সময়ে না খেয়ে থাকি।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের উপকারিতাঃ
১) ঘন ঘন ক্ষুধা লাগা কমে
২) বাড়তি চর্বি কমানোর সবচেয়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি (1)
৩) ব্লাড শ্যুগার কন্ট্রোল তথা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রন করার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি (2)
৪) উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশান থেকে মুক্তি লাভ করতে সাহায্য করে
৫) প্রজননক্ষমতা বাড়াত্ব কার্যকর
৬) ইস্ট্রোজেন-প্রজেস্টেরন ব্যালেন্সে সহায়ক ভুমিকা পালন করে(3)
৭) টেস্টোস্টেরন লেভেল ২৫-১৮০% পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম
৮) এন্টি এইজিং ইফেক্টের কারনে বয়সের ছাপ কমায়
৯) গ্রোথ হরমোন উৎপাদন বৃদ্ধি করে তাই সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও মাসল গেইনের জন্য কার্যকর (4)
১০) বাড়তি শ্বেত রক্তকনিকা উৎপাদনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে
১১) ক্রনিক ইনফ্ল্যামেশানকে কমায়
১২) মস্তিষ্কের চিন্তাশক্তি ও স্মরনশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
১৩) অটোফ্যাজিতে সাহায্য করে, যার ফলে শরীরে নতুন স্টেম সেল তৈরি হয়
১৪) ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ব্যাহত করে এবং সঠিক থেরাপির উপস্থিতিতে ক্যান্সার কোষের মৃত্যু ঘটায়
১৫) ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায় (5)
১৬) কোষে থাকা শক্তিকেন্দ্র মাইটোকন্ড্রিয়ার শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতাকে বাড়ায়
১৭) হার্ট এটাক-স্ট্রোকের ঝুকি কমায়
১৮) এথেরোস্ক্লেরোসিস বা ধমনীর গায়ে জমা চর্বি গলাতে শক্তিশালী ভুমিকা পালন করে
১৯) কম ঘুমিয়ে বেশি এক্টিভ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করতে ভুমিকা রাখে
২০) মুড সুইং ও ডিপ্রেশন নিয়ন্ত্রনে ভুমিকা রাখে।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং নিয়ে পৃথিবী বিখ্যাত অসংখ্য চিকিৎসক ও নিউট্রিশনিস্ট কাজ করছেন।
ডায়েট ফালসাফা গ্রুপ সবচেয়ে বেশি কাজ করবে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং নিয়ে, ইনশা আল্লাহ।