হার্ট অ্যাটাকেই সব শেষ নয়!
বিয়ের মাত্র নয়দিনের মাথায় হার্ট এটাক করলেন সিলেটের এক ভাই। বয়স তখন তার মাত্র ২৫ বছর, ঘটনা গত বছরের।
তিনি আমার অনেক দিনের পুরানো ভক্ত। পেইজের বহু লেখা প্রায় মুখস্ত করে ফেলেছেন ইতোমধ্যেই।
হার্ট এটাকের পর ভাইটি থেমে যান নি, তিনি চেষ্টা করছেন ফিরে আসার। যেহেতু বহু বছর ধরেই আমার কাজ সম্পর্কে তিনি জানেন, তাই ঢাকায় আসার মত অবস্থা হবার পরপরই চলে এলেন চেম্বারে। হার্ট ডিজিজ ছাড়াও আছে প্রিডায়বেটিস-ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, মাইগ্রেন, এংজাইটি ও খুব সম্ভবত ফ্যাটি লিভারও(ইনভেস্টিগেশান চলছে)।
আজকে তার রিপোর্টস-ডকুমেন্টস-হিস্ট্রি ঘেটে আর প্রায় আধ ঘন্টা ভার্বাল-ফিজিক্যাল ইনভেস্টিগেশনের পর বুঝতে পারলাম, তার হার্ট এটাকের প্রধান কারন ছিল ক্রনিক স্ট্রেস, এংজাইটি, ম্যাগনেসিয়াম ডেফিসিয়েন্সি ইনসুলিন রেজিস্টেন্সের সমন্বয়। এছাড়াও ওনার চিকিৎসক ও আমার একই ধারনা, খুব সম্ভবত উনি কোভিড ইনফেক্টেড হয়েছিলেন কিন্তু বুঝতে পারেন নি।
পুরুষরা সবচেয়ে বেশি শেষ হন ক্রনিক স্ট্রেসে, স্ট্রেস আমাদের শরীর থেকে অনেকগুলো ভাইটাল নিউট্রিয়েন্ট ডিপ্লেট করে ফেলে, অনেকগুলি মেটাবলিক পাথওয়েকে রিভার্স করে দেয়। এর ফল হয় হার্ট এটাক ও স্ট্রোকের মত হৃদয়বিদারক ঘটনা। (1)
আরেকটা কথা আমি প্রায়ই বলি, হার্ট এটাক/স্ট্রোকের ঘটনার একটা উল্লেখযোগ্য অংশের সুচনা হয় কোমরের নিচের দিকে চিনচিনে ব্যথা থেকে। আজকের কোমরের নিচে চিনচিনে ব্যথাকে আমরা ক্লিনিক্যালি আইডেন্টিফাই করি লো ব্যাক পেইন হিসেবে, (2) কিন্তু ৫০ বছর বয়সের আগে লো ব্যাক পেইনের নিউট্রিশনাল ব্যাখ্যা হচ্ছে, প্যাশেন্ট ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে-২ ও ভিটামিন সি’র অভাবে ভুগছে।
এই ঘাটতিই কালে কালে বেড়ে হার্টকে আরো দুর্বল করতে থাকে।
আল্লাহ চাইলে সিলেটের সেই ভাই আগামী দেড় দুই বছরে অন্য এক মানুষ হয়ে যাবেন ইনশা আল্লাহ।
পৃথিবীটা লড়াকুদের। আমরা যেন হাল না ছাড়ি। জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত হাল না ছাড়াই জীবনের সৌন্দর্য।