পিসিওস এর লক্ষন জেনে নিন
আপনি মেয়ে।
আপনার মাথার চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে দিন দিন, ওদিকে চেহারায় বাড়ছে লোমের পরিমান, বিশেষ করে ঠোটের ওপরে বা থুতনির নিচে, চোয়ালে বা গলায়।
চামড়া তেলতেলে থাকে সবসময়, অথবা, একনি থাকে।
আপনার ঘাড়ে, স্তনে, বগলের নিচে অথবা কুচকির দিকটাতে প্রায়ই দেখা যায় চামড়ার রঙ কিছুটা কালচে হয়ে আছে।
আপনি সাধারনত রাতে ভাল করে ঘুমোতে পারেন না এবং প্রায়ই আপনার দিনের বেলা ক্লান্ত লাগে সবকিছুতেই…
ঘুম থেকে উঠতে গিয়ে দেখেন প্রচন্ড দুর্বল লাগছে, অনেক সময় এপোনিয়াও হয়ে যাচ্ছে।
আপনার অনিয়মিত মাসিক হয়, ঘনঘন মাসিক হয় এবং কখনো কখনো মাসিকে প্রচণ্ড রক্তক্ষরন হয়।
দিনে একবারও স্বাভাবিক যৌনাকাঙ্ক্ষা তৈরি হয় না, নিজের শরীর নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন।
(1)
অবিরত বেড়েই যাচ্ছে ওজন…কমার নামগন্ধ নেই। খুব লো ক্যালরি ডায়েট করেও ওজন কমছে না??
এই লক্ষণগুলোর অন্তত দুটো বা তার বেশি যদি আপনার থাকে, সম্ভাবনা আছে আপনার পিসিওএস বা পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম আছে।
ওভারিয়ান সিস্টের সাথে সরাসরি জড়িত হরমোনগুলো হচ্ছেঃ
১) ইনসুলিন
২) ইস্ট্রোজেন ও ইস্ট্রোজেন ডেরিভেটিভস
৩) থাইরক্সিন
৪) কর্টিসোল
(2)
যদি সুস্থ জীবন চান, বয়স ১২ হবার পর থেকেই আপনাকে সতর্ক হতে হবে।
চিনি মেশানো হয় এমন সমস্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
আটা-ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে এবং সয়াবিনযুক্ত সমস্ত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
আর যদি আপনার পিসিওএস হয়েই গিয়ে থাকে, তাহলে দেরি না করে নিজের ডায়েটে চেঞ্জ নিয়ে আসুন। ওষুধ আপনাকে সাময়িক সমাধান দিতে পারে হয়তো, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী সমাধান আছে ডায়েট ও লাইফস্টাইলে।
একটা ব্যাপারে নিজেকে কনভিন্স করতে হবে, সেটা হচ্ছে ডায়েট নিয়ে যদি আপনি স্টুপিডিটি করেন, আপনার শরীর আপনাকে ছাড় দেবে না।