ভিটামিন ডি দেহে যেসকল কাজের সাথে জড়িত
ভিটামিন ডি শরীরে অনেক কাজে লাগে।
ভিটামিন সি, ডি আর ম্যাগনেসিয়াম, এই তিনটা নিউট্রিয়েন্ট অসংখ্য কাজে লাগে, এদের কাজটা কি, সেই প্রশ্নের বদলে বরঞ্চ প্রশ্ন করা যায় যে আসলে কোন কাজে এরা লাগে না।
ভিটামিন ডিকে গত পনেরো বিশ বছর ধরব ড. মাইকেল হোলিকের মত গবেষকরা বলছেন, এটা আসলে ভিটামিন না, এটা একটা হরমোন।
ভিটামিন ডির রাসায়নিক নাম কোলিক্যালসিফেরল, আর আমাদের শরীর এটাকে ব্যবহার করে এটার এক্টিভ ফর্মে, নাম ক্যালসিট্রিয়ল। আমাদের শরীরে কয়েকটা উপাদান একসাথে উপস্থিত না হলে ভিটামিন ডি ফরমেশন ও এক্টিভেট হতে পারে না।
সেগুলো হচ্ছেঃ
১) কোলেস্টেরল-৭-ডিএইচসি
২) ডিএইএচএ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড
৩) ম্যাগনেসিয়াম
৪) বোরন
তো মূল কথায় আসি। ভিটামিন ডি’র সবচেয়ে জরুরী কাজ হচ্ছে আসলে পাচটা জরুরী মিনারেলকে হজম করানো।
১) ক্যালসিয়াম
২) ম্যাগনেসিয়াম
৩) জিংক
৪) আয়রন
৫) ফসফরাস
এর মানে হল, আপনার যদি শরীরে ভিটামিন ডির অভাব পড়ে, এগুলোর কোনটাই শরীরে ঠিকভাবে কাজ করবে না।
ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের হাড়ের গঠন ধরে রাখা ও মাংসপেশীর শক্তি বজায় রাখার জন্য। আমার অনেক প্যাশেন্ট আছেন যারা একটা ওয়াল পুশ আপ দেয়াকে প্রায় অসম্ভব একটা কাজ মনে করেন। পাচ কেজি ওজন এক হাতে তুলতে পারেন না। এর প্রধান কারন ভিটামিন ডির মারাত্মক অভাব।
ভিটামিন ডি ইনসুলিন সিক্রেশনে সাহায্য করে, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায়।
ভিটামিন ডি আমাদের হার্ট মাসলকে ভালো রাখে, হার্টের ভেতরে যে ক্রনিক ইনফ্ল্যামেশনের ফলে বিভিন্ন হার্ট ডিজিজ হয় সেগুলি ঠেকাতে সাহায্য করে।
যেহেতু এটা এন্টাই ইনফ্ল্যামাটরি, তাই ভিটামিন ডি সবচেয়ে শক্তিশালী ভুমিকা রাখে ক্যান্সারের তীব্রতা কমাতে।
ভিটামিন ডি লেভেল কমে গেলে আমরা স্বাভাবিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি না, বুদ্ধিমত্তা হ্রাস পায় এবং ব্রেইন ফগ, ডিপ্রেশন, স্লিপ ডিজর্ডার দেখা দেয়।
ভিটামিন ডির আরেকটা সর্বপ্রধান কাজ হচ্ছে ফার্টিলিটি। ভিটামিন ডির অভাবে নারী ও পুরুষ উভয়েরই প্রজননক্ষমতা দারুণভাবে কমে যায়।
আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেহের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ কাজের সাথে শক্তিশালীভাবে জড়িত আছে ভিটামিন ডি।
আমাদের হাজারটা রোগের সমাধানের জন্য হাজারটা ওষুধ আছে, সন্দেহ নেই।
কিন্তু সুস্থতার শুরুটা হয় সুন্দর পরিবেশ আর পুষ্টি উপাদান থেকে।