আপনার জন্য কত আইইউ ভিটামিন ডি প্রয়োজন? জেনে নিন!
কে কতটুকু ভিটামিন ডি খেলে ভিটামিন ডির অভাব/ডেফিসিয়েন্সি দূর হবে জানতে এই পোস্টটা মুখস্ত করে ফেলুন। তবে, জটিল রোগে আক্রান্তে রোগীকে এই পোস্ট মুখস্ত করে ডোজ দিতে যাবেন না। ছোটখাট অসুখ বা আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ মানুষ যার ডি ডেফিসিয়েন্সি ছাড়া অন্য মেজর সমস্যা নেই, তার জন্য এই ডোজই যথেষ্ট হবে ইনশা আল্লাহ।
ভিটামিন ডি নিয়ে এত লিখছি কারন সামনে শীতকাল আসছে। শীতে যতরকম সর্দি কাশি আর ব্যথা আমাদের ওপর চেপে বসে, ভিটামিন সি আর ডি লেভেল ঠিক থাকলে কিছুই দাত বসাতে পারবে না সহজে।
যাদের ভিটামিন ডি লেভেল ১০ ন্যানোগ্রাম/ডেসিলিটার, তাদের জন্য ডেইলি ডোজ হবে, ৬৭ আইইউ পার কেজি। ওজন ৭০ কেজি হলে ডোজ ৪৭০০ আইইউ, ধরে নেন ৫ হাজার আইইউ করে ১২ সপ্তাহ চলবে।
যাদের ভিটামিন ডি লেভেল ১৫ ন্যানোগ্রাম/ডেসিলিটার বা তার কাছাকাছি, তাদের জন্য ডেইলি ডোজ হবে, ৬০ আইইউ পার কেজি। ওজন ৭০ কেজি হলে ডোজ ৪২০০ আইইউ, ধরে নেন দিনে ৪ হাজার আইইউ করে ১৪ সপ্তাহ চলবে।
যাদের ভিটামিন ডি লেভেল ২০ ন্যানোগ্রাম/ডেসিলিটার বা তার কাছাকাছি, তাদের জন্য ডেইলি ডোজ হবে, ৫১ আইইউ পার কেজি। ওজন ৭০ কেজি হলে ডোজ ৩৫৫০ আইইউ, ধরে নেন ৪ হাজার আইইউ করে ১০ সপ্তাহ চলবে।
যাদের ভিটামিন ডি লেভেল ২৫ ন্যানোগ্রাম/ডেসিলিটার, তাদের জন্য ডেইলি ডোজ হবে, ৪২ আইইউ পার কেজি। ওজন ৭০ কেজি হলে ডোজ প্রায় ৩০০০ আইইউ, ধরে নেন ৪ হাজার আইইউ করে ৮ সপ্তাহ চলবে।
যাদের ভিটামিন ডি লেভেল ৩০ ন্যানোগ্রাম/ডেসিলিটার, তাদের জন্য ডেইলি ডোজ হবে, ৩৪ আইইউ পার কেজি। ওজন ৭০ কেজি হলে ডোজ এরাউন্ড ২৩০০ আইইউ, ধরে নেন ২ হাজার আইইউ করে ১৪ সপ্তাহ চলবে।
এর সাথে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার এবং স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল খেতে হবে। অতিরিক্ত চিনি, সয়াবিন, গমের তৈরি খাবার, পনির থেকে দূরে থাকা চাই। নিয়মিত যথেষ্ট শাকসবজি খাবেন, পালংশাক, কাঠবাদাম ও মিষ্টি কুমড়ার বীজ বা ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খাবেন(যাদের ম্যাগনেসিয়ামের অভাব আছে তারা)।
এরপরেও আমি জানি অনেকের সমস্যা থেকে যাবে, কারো দেখা যাবে ভিটামিন ডি হজম হয় না, কারো অন্য কোন সমস্যা (ম্যাগনেসিয়াম/বোরন/জিঙ্ক/ভিটামিন এ/কোলেস্টেরল/ডিএইচএ ওমেগা থ্রি ডেফিসিয়েন্সি/ইনফ্ল্যামেশান/গাট প্রবলেম/কিডনি/লিভার ডিজিজ) থাকতে পারে। যারা স্ট্যাটিন গ্রুপের ওষুধ খান তাদের সমস্যা হয় সবচেয়ে বেশি। এসব কেইসের জন্য নিউট্রিশনিস্ট দেখানোই ভাল।
আশা করি এই পোস্ট ফলো করলে আপনাদের শীতকালটা ভিটামিন ডির অভাবে ভুগে কষ্ট করতে হবে না, ইনশা আল্লাহ।