ভিটামিন ডি-র উৎস
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারের কথা অনেকেই জানতে চান, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, খাবার থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া খুবই কঠিন।
দুনিয়াতে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ যেসব খাবার পাওয়া যায় সেগুলো বেশিরভাগই ফরটিফাইড ফুড।
বাংলাদেশে ইলিশ, থাই সরপুটি, তেলাপিয়া, রুপচাদা, বাইলা ছাড়া আর কোন মাছে উল্লেখযোগ্য পরিমান ভিটামিন ডি পাওয়া যায় না। এর প্রধান কারন, ১)বাংলাদেশে কোন ঠান্ডা পানির সমুদ্র বা নদী নেই। ঠান্ডা পানির মাছ শীতের সময় বেচে থাকার জন্য শরীরে ভিটামিন ডি সঞ্চয় করে রাখে, যা গরম পানির অধিকাংশ মাছ করে না ২)বাংলাদেশের নদীতে থাকা জুপ্ল্যাংক্টনের ধরন দিন দিন পরিবেশ দুষনের জন্য বদলে যাচ্ছে, ফলে যেটুকু ভিটামিন ডি আগে পাওয়া যেত তাও এখন পাওয়া যায় না।
তাই ভিটামিন ডি’র অভাব খাবার থেকে পুরন করার চেষ্টা বাদ দিয়ে বরঞ্চ রোদে শারীরিক পরিশ্রম করা এবং ন্যাচারাল কোলেস্টেরল জাতীয় খাবার খাওয়া প্রাকৃতিক উপায়ে ভিটামিন ডি তৈরির একমাত্র উপায়। এছাড়া, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স থেকে সাবধানে থাকার জন্য সয়াবিন, সাদা চাল, গম ও চিনি থেকে দূরে থাকলে কিছুটা ভাল ফল পাবেন।
নিয়মিত প্রোবায়োটিক নিলেও গাট হেলথ ভাল থাকবে এতে বেশি ভিটামিন ডি শোষন করতে পারবেন।
ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট হিসেবে নেয়ার পাশাপাশি সাথে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ব্যবহার করলে ভিটামিন ডি শোষনের হার প্রায় ১০ গুন বাড়ে। এক্ষেত্রে পাম্পকিন সিড আর কাঠবাদাম হতে পারে ভাল উৎস।
যারা অতিরিক্ত চিনি, রিফাইন্ড অয়েল ও চিজ জাতীয় খাবার খান, আটার তৈরি খাবার খান, তারা ভিটামিন ডি ঠিকভাবে শোষন করতে পারেন না, তাই এই খাবারগুলি থেকেও সবার দূরে থাকা উচিত।