ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট কোনটা খাবেন, কোন ব্র্যান্ডের খাবেন, কেন খাবেন?
ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ডি এই তিনটাকে একসাথে ন্যাচারোপ্যাথরা বলেন দ্যা হোলি ট্রাইডেন্টা।
আজকের পোস্টে আমরা শুধুই ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট নিয়ে আলোচনা করবো।
ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্টের মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর তিনটা ফর্ম হলঃ
১) ম্যাগনেসিয়াম গ্লাইসিনেট
২) ম্যাগনেসিয়াম সাইট্রেট
৩) ম্যাগনেসিয়াম টরেট
এছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট বেশ ভাল কাজ করে, তবে ম্যাগনেসিয়াম সালফেটটা আমাদের পক্ষে মুখে খাওয়ার চাইতে টপিক্যাল সলিউশন হিসেবে স্কিন দিয়ে নেয়াটা সহজ। ইপসম সল্ট বাথের জন্যেও এটাই প্রয়োজন হয়।
সবচেয়ে বাজে ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট হচ্ছেঃ
১) ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড
২) ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রক্সাইড
৩) ম্যাগনেসিয়াম কার্বনেট
কিন্তু এই বাজেগুলিও কোন কোন ক্ষেত্রে খুব কার্যকর।
এখন, কোন ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট কখন খেতে হবে??
১) গ্লাইসিনেট খাবেন ডিপ্রেশন-ঘুমের সমস্যা-মুড সুইংয়ের জন্য
২) সাইট্রেট খাবেন হাড়ের দুর্বলতা, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, রক্তে বেড়ে যাওয়া টিজির জন্য
৩) টরেট খাবেন ব্লাড প্রেসার কমানোর জন্য এবং যদি কখনো হার্ট এটাক হয়ে থাকে, সেজন্য। একই কারনে আসলে সাইট্রেটও ব্যবহার করা যায়।
কোন ব্র্যান্ডের খাবেন??
যেহেতু ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট হিসেবে কাজ করি, সাপ্লিমেন্ট নিয়ে আমাকে হরদমই নাড়াচাড়া করতে হয়। এখন পর্যন্ত আমার কাছে মনে হয়েছে, বাংলাদেশে এভেইলেবল ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে লাইফ এক্সটেনশান ব্র্যান্ডের ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট সেরা। এরপরেই বলতে হবে নাউ ব্র্যান্ডের কথা। নাউ ব্র্যান্ডের পরে জ্যারোস ফরমুলা বা ডক্টরস বেস্টের কথা।
গ্লোবাল লেভেলে, লিভওয়েলের ম্যাগওয়েল, ইসেনশিয়াল এলিমেন্টসের ম্যাগনেসিয়াম এবং মেটাজেনিক্সের ম্যাগনেসিয়াম গ্লাইসিনেটকে আমার অন্যতম সেরা ব্র্যান্ড মনে হয়, কিন্তু বাংলাদেশে এগুলি পাওয়া যায় না। ড. ক্যারোলাইন ডিন, যাকে পৃথিবীর অন্যতম সেরা ম্যাগনেসিয়াম এক্সপার্ট বলা হয়, তিনি নিজে একটা ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট তৈরি করেছেন, ওটার নাম রিম্যাগ।
রিম্যাগ বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ খেয়ে হজম করতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে।
ম্যাগনেসিয়াম নিয়ে আরো অনেক বেশি লেখা উচিত, আপাতত এটুকু লিখেই ক্ষান্ত দিচ্ছি।