আপনার সন্তান অমনোযোগী, কাজে কর্মে অলস, শুধুই বসে থাকতে চায়?
আপনার সন্তান অমনোযোগী, কাজে কর্মে অলস, স্কুলে যেতে চায় না, খেলে না, শুধুই বসে থাকতে চায়? কারন জেনে নিন।
আমার কাছে মাঝে মাঝেই স্কুলে যাওয়া বাচ্চাদেরকে নিয়ে আসা হয়। বলা হয়, অনেকদিন ধরেই বাচ্চাটা পড়ছে না, কাজে কর্মে অলসতা, স্কুলে যেতে চায় না, খেলে না, শুধুই বসে থাকতে চায়।
এসব কারনে তাদেরকে মারধরও করা হয় প্রায়ই।
এই কেসগুলোর প্রায় একশো ভাগই ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিংক ডেফিসিয়েন্সির ফল। এর মধ্যে গত ছয় মাসে অন্তত ১০টা কেস আছে ক্লিনিক্যালি প্রুভেন, বাচ্চাগুলোর ভিটামিন ডি লেভেল ছিল ১৫ এর নিচে, অনেকের ১০ এরও নিচে, ৫-৮ ও আছে।
বাচ্চাদের মধ্যে অলসতা দেখলে প্রথমে নজর দিন তার খাবারের দিকে।
ভিটামিন ডি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে, মাছের তেল ছাড়া আর কোন কিছুতেই এটা যথেষ্ট পাওয়া যায় না। ভিটামিন ডি লেভেল পড়ে গেলে তাই আমাদের সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা ছাড়া আর উপায় থাকে না।
শিশুরা এখন আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি স্ট্রেসে থাকে। স্ট্রেসের কারনে ভিটামিন ডির কেমিক্যাল স্ট্রাকচার শরীরের ভেতর ভেঙ্গে যেতে পারে।
রোদে থাকা ঘোরাঘুরি করলে কালো হয়ে যাবে, জ্বর আসবে, সন্তানের মায়েদের এসব ধারনাও আসলে তাদের জন্য ক্ষতির কারন। ভিটামিন ডি লেভেল ঠিক থাকা গায়ের রঙ ফ্যাকাশে সাদা হওয়ার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সন্তানের গায়ের রঙের বদলে তার সুস্থতা নিশ্চিত করুন।
আর স্কুলে যেতে না চাওয়ার পাশাপাশি যদি সবসময়েই অলসতা, দুর্বলতা, পায়ের হাড়ে ব্যথা খেয়াল করেন, দেরি না করে প্রফেশনালের কাছে যান। সব ফাকিবাজি ইচ্ছাকৃত না, প্রায় সময়েই আমরা তাদের প্রয়োজনগুলো বুঝি না।
আমি যখন মারাত্মক ভিটামিন ডি’র অভাবে ভোগা শিশুদের মায়েদেরকে সমস্যার কথা বুঝিয়ে বলি, তাদের অনেকেই পরে অপরাধবোধে কান্না করেন, কেন তার বাচ্চাকে তিনি মারলেন এবং আরো আগে কেন তিনি ট্রিটমেন্ট শুরু করলেন না।
শিশুদের প্রয়োজন নিয়ে সতর্ক হোন।