ভিটামিন সি আসলে দিনে কতটুকু খেতে হয়?
ভিটামিন সি যিনি আবিষ্কার করেছেন, সেই সেইন্ট জিওর্জি গ্রেগরী ড. আরউইন স্টোনকে বলেছিলেন, এটা এত গুরুত্বপূর্ণ একটা মলিকিউল যা কোনমতেই মাইক্রোমিনারেল হিসেবে গন্য হওয়া উচিত নয়, অর্থাৎ এর গ্রহন কোনমতেই কয়েক মিলিগ্রামে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। ড. আরউইন স্টোন তার লেখা বিখ্যাত বই The Healing Factor এ কথাটা উল্লেখ করেছেন। ড. ফ্রেডরিক ক্লেনার, ড. রবার্ট ক্যাথকার্ট, ড. জাঙ্গলবুট এবং ড. থমাস লেভির ভিটামিন সি নিয়ে অজস্র অজস্র ক্লিনিক্যাল স্টাডি আছে।
ড. আরউইন স্টোনের লেগ্যাসি পরবর্তীতে বহন করেন ড. লাইনাস পাউলিং, ড. আব্রাম হফার, ড. এন্ড্রু সল, ড. ম্যাথায়াস র্যাথ, ড. রিচার্ড চেঙ সহ বিশ্ববিখ্যাত কয়েকজন গবেষক।
বহুল প্রচারিত ও প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান এন আই এইচ এর ভিটামিন সি আরডিএ গ্রহনের উৎস ও তা থেকে হওয়া বিপদ নিয়ে ড. সলের লেখা বই ‘ভিটামিন সিঃ দ্যা রিয়েল স্টোরি’ এবং আরডিএঃ রিডিকুলাস ডায়েটারি এলাউয়েন্স পড়তে পারেন যদি কেউ সেভাবে আগ্রহী হন। তবে ফার্মাসি-বায়োকেমিস্ট্রি-নিউট্রিশন-মেডিক্যাল সায়েন্সের ছাত্র-ছাত্রী না হলে হয়তো এই বইগুলো পড়তে ভাল লাগবে না।
সর্বোপরি, আমাদের গ্রুপটার উদ্দেশ্য মূলত ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি মিথ্যা তথ্যের যে মাকড়শার জাল আমাদের চারপাশে তৈরি করেছে, তাকে ভেদ করে সত্যের কাছাকাছি থাকা। এই গ্রুপে তাই অনেক অফ দ্যা ট্র্যাক ইনফরমেশন পাবেন যা আপনাকে জানতে দেয়া হয় না এবং আপনার জানার সাথে মেলে না।
ভিটামিন সির রেগুলার ডোজ আসলে কতটুকু হওয়া উচিত তা নিয়ে যদি একাডেমিক ভাষায় পড়তে চান, প্রথম কমেন্টে দেয়া লিংকটায় ঢুকে পড়ে নিতে পারেন। বাংলা ভাষায় এখন পর্যন্ত এধরনের আর কোন কাজ হয় নি।
অহেতুক তর্ক না করে যারা বিজ্ঞানকে জানতে চান, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিবিদ্যা ও বৈজ্ঞানিক মেজাজ অনুসরন করে পড়ুন, বুঝতে সুবিধা হবে। ধন্যবাদ।