পুরুষদের রক্তশূন্যতার কারন
গত কয়েক মাসে নতুন করে পুরুষদের একটা সমস্যা খেয়াল করলাম।
কাজে মনোযোগ নেই, শরীরে যথেষ্ট শক্তি নেই, শুধু অলসতা করেন, প্রায়ই খিটখিটে আচরন করেন।
কারো কারো সারাক্ষনই হার্ট বিট স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি থাকে এবং একারনে বুক ধড়ফড় করতে থাকে বলে তারা অভিযোগ করে থাকেন।
সিবিসি টেস্ট দিলে দেখা যায়, এই পুরুষদের অনেকেরই এনিমিয়া আছে, হিমোগ্লোবিন লেভেল ১৩ এর নিচে বা সামান্য ওপরে(ক্লিনিক্যালি এটাকে এনিমিয়া ডিজিজ আকারে দেখা যায় না বটে কিন্তু সাথে লো এমসিএইচ ও ফ্যাটিগ-শ্রান্তির উপসর্গ যুক্ত হলে এনিমিয়া না বলে উপায়ও থাকে না)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর মোট পুরুষদের ১২.৭% এনিমিয়ায় আক্রান্ত। ভারতে হওয়া এক গবেষনায় দেখা যায় ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে এই হার ১৭% এর সামান্য বেশি।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, পুরুষদের মধ্যেও রক্তশুন্যতা থাকতে পারে, যদিও তা খুব একটা চোখে পড়ে না। এর প্রধান কারন, পুরুষদের অনেকেই নিজেদের দুর্বলতার কথা কাউকে বলতে খুব একটা পছন্দ করেন না এবং মনে করেন সব ঠিক হয়ে যাবে।
এখন, পুরুষদের এই সমস্যার কারন কি??
১) ধুমপান। সিগারেট খাবেন মানেই আয়রন শোষন কমে যাবে। কারন সিগারেট আয়রন শোষনের জন্য দরকারী ভিটামিন সিকে অক্সিডাইজ(নষ্ট) করে ফেলে।
২) চা-কফি। চা-কফিতে থাকা ট্যানিন আয়রন শোষন করতে বাধা দেয়।
৩) রেডিয়েশান ও দুষন। রেডিয়েশন ও দুষনের কারনে দেহে থাকা ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়, ফলে আবারও প্রভাব পড়ে আয়রন স্টেইটাসে।
৪) খাবারে যথেষ্ট প্রানীজ আয়রন না থাকা। উদ্ভিজ্জ আয়রন শোষন করা বেশ কঠিন এবং এগুলো থেকে কাঙ্ক্ষিত আয়রন ডোজ নেয়া আসলে ধারাবাহিকভাবে সম্ভব না।
৫) ফোলেট ও ভিটামিন বি-১২ এর অভাব। এটাও খাবারে প্রানীজ প্রোটিনের অভাব থেকেই মূলত হয়।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, খাবারে আয়রনের অভাবের চেয়ে লাইফস্টাইল প্রবলেমই পুরুষের রক্তশুন্যতার জন্য বেশি দায়ী।