Top

সিম্যাগ বেবি: সাক্সেস স্টোরি – ০৬

Sajal’s Diet Falsafa / CMag Baby  / সিম্যাগ বেবি: সাক্সেস স্টোরি – ০৬

সিম্যাগ বেবি: সাক্সেস স্টোরি – ০৬

ছবিতে যে চারটি শিশুকে দেখা যাচ্ছে তারা সবাইই ন্যাচারাল ডেলিভারির মাধ্যমে পৃথিবীতে এসেছে। ছোট দুজন হচ্ছে সিম্যাগ শিশু। ডা. সোহেল ভাই-আমিনা ভাবীকে অভিনন্দন পরপর দুই বার সিম্যাগ শিশুর বাবা-মা হওয়ার জন্য।
বিভিন্ন কারনেই ন্যাচারাল ডেলিভারি আজকাল রীতিমত দুর্লভ হয়ে গেছে। না আমরা শারীরিকভাবে তৈরি থাকি প্রেগন্যান্সির জন্য, আর না আমাদের লাইফস্টাইল সুস্থ গর্ভধারনের উপযোগী। পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা তো আছেই।
সিম্যাগ প্রোটোকলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি শক্তিশালী রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও উন্নত মানসিক সক্ষমতার লক্ষনসম্পন্ন শিশুর জন্ম দিতে সহায়তা করে।
মাতৃত্বকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েরা মূলত ১২ টি নিউট্রিয়েন্টের অভাবে ভুগে থাকেন।
ইসেনশিয়াল এমাইনো এসিড লাইসিন ও লিউসিন, ট্রিপ্টোফ্যান, ভিটামিন সি, ডি, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফোলেট, জিংক, ভিটামিন বি-৬, বি-১২ ও ডিএইচএ।
আমাদের প্রোটোকলের উদ্দেশ্য থাকে এই সবকটি নিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি পুরন করার মাধ্যমে মাকে ডেলিভারির জন্য সম্পুর্ন প্রস্তুত রাখা। পাশাপাশি শিশু যেন জন্মের আগে এই নিউট্রিয়েন্টগুলি ঠিক পরিমানে পায় তা নিশ্চিত করা।
সিম্যাগ প্রোটোকল শুরুর সঠিক সময় হচ্ছে প্রেগন্যান্সির ৮ সপ্তাহ। এসময় থেকেই রোজ ৫০০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ৬-১০ টা ডিভাইডেড ডোজে নেয়ার মাধ্যমে সিম্যাগ প্রোটোকলের শুরু করা যায়, কিন্তু ভিটামিন সি ছাড়া বাকি অংশটা পুরোপুরি নির্ভর করে রোগীর অবস্থার ওপর, তাই প্রফেশনালের পরামর্শ অতি জরুরী। তবে বিয়ের পর থেকেই উরু, তলপেট ও নিতম্বের মাংসপেশী তৈরিতে যথেষ্ট শ্রম না দিলে তার খেসারত আপনাকেই দিতে হবে। মনে রাখবেন, প্রেগন্যান্সিতে অন্তত ৯-১০ কেজি ওয়েট স্বাভাবিকভাবেই গেইন করবেন আপনি, সেই ওয়েট বহন করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী কোর ও ব্যাক মাসলস, থাই ও গ্লুট মাসলস না থাকায় প্রেগন্যান্সির শেষ তিন মাসে অনেকেরই শুরু হয় ব্যাক পেইন, যা ক্ষেত্রবিশেষে সারাজীবন থেকে যায়।
সিম্যাগ প্রোটোকল অনুসরন করুন, পৃথিবীতে নিয়ে আসুন উচ্চ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন বুদ্ধিদীপ্ত শিশু।

Share
sadia