সিম্যাগ বেবি: সাক্সেস স্টোরি – ০৭
নভেম্বর-মার্চের ভেতরে প্রায় ৩০টা সিম্যাগ ডেলিভারির খবর পেলেও গত রমযানের পর থেকে টানা দুই মাস নতুন কোন সিম্যাগ শিশু নরমাল ডেলিভারির তেমন কোন সংবাদ আমরা পাই নি। যারা কনসাল্টেশনে আছেন তাদের অধিকাংশই সেকেন্ড ট্রাইমেস্টারে। একটু চিন্তিত মনে ভাবছিলাম, কি ব্যাপার, নতুন বাবুর খবর কবে পাবো!!
অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ করে আজ সকালে ভুমিষ্ঠ হল আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এক বান্ধবীর সিম্যাগ শিশু। বেচারী হাইপারথাইরয়েডিজম-এনিমিয়া-আন্ডারওয়েট ও ভিটামিন ডি’র অভাবে ভুগছিল বেশ বাজেভাবে, তাই ওকে নিয়ে একটু চিন্তায়ই ছিলাম।
আমি সাধারনত কোন আয়রন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার না করেই প্রেগন্যান্সিতে এনিমিয়া ম্যানেজ করে থাকি, কিন্তু ওর অবস্থা প্রথমে খারাপ থাকায় আয়রন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করতেও বাধ্য হয়েছিলাম।
প্রেগন্যান্সির একেবারে শেষদিকে এসে ওর জেস্টেশনাল ডায়বেটিস ধরা পড়লো, তখন আমি আরেকটু চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ, যথাযথ ওয়েট গেইনের মাধ্যমেই ওর নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে।
আল্লাহ তৌফিক দিলে এই বছর আমরা ৫০ জনেরও বেশি সিম্যাগ শিশু নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পৃথিবীতে আগমনের সুসংবাদ পাবো বলে আশা রাখছি এবং আগামী বছর এই সংখ্যাটা ২০০-৩০০ তে চলে যাবে বলে আমার মনে হচ্ছে।
সিম্যাগ প্রোটোকল শুধু ভিটামিন সি দিয়ে হয় না। সিম্যাগ প্রোটোকল গর্ভকালীন নিউট্রিশনাল ম্যানেজমেন্টের সমস্ত দিকের সুরক্ষাই নিশ্চিত করে।
সিম্যাগ মা ও শিশু হচ্ছে ভবিষ্যতের সুস্থ-সুপুষ্ট মা ও শিশু, ইনশা আল্লাহ।