সিম্যাগ বেবি: সাক্সেস স্টোরি – ১০
জান্নাতি ময়না আপু আমার ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র,তিনি পেশায় একজন ফুড ইন্সপেক্টর। আপু আবার আমাদের আরেক সিনিয়র ভাই রায়হান ভাইয়ের স্ত্রী।
ময়না আপু আমার কাছে এলেন ডিসেম্বরে, জানালেন উনি কনসিভ করেছেন এবং ন্যাচারাল ডেলিভারির জন্য ইন্টারেস্টেড। এর আগে আমার আরেকজন সিনিয়র আপু সিম্যাগ প্রোটোকলে ছিলেন কিন্তু ওনার প্রেগন্যান্সিটা খুবই কমপ্লিকেটেড হওয়াতে ডাক্তার শেষমেশ সি সেকশনেই যান।
ময়না আপু সিম্যাগ প্রোটোকলে ছিলেন ১২ সপ্তাহের পর থেকে পুরোটা প্রেগন্যান্সিতে। সপ্তাহ দুয়েক আগে হঠাৎ রায়হান ভাই আমাকে কল দিয়ে বললেন সজল আমাদের তো ছেলে বাবু হইসে। ন্যাচারাল ডেলিভারি, ওজন ৩ কেজি ১শো গ্রাম(এটাই বলেছিলেন যতদুর মনে পড়ে).
আমি খুবই খুশি হয়ে গেলাম। ময়না আপু-রায়হান ভাই অনেক বছরের চেনা মানুষ, তাদের বেবিটা ন্যাচারালি হওয়ায় মন আনন্দে ভরে গেল।
আমার নিউট্রিশনাল টেকনিকগুলো খুবই আনকনভেনশনাল এবং ক্ষেত্রবিশেষে ইন্টেন্সিভও বটে। কিন্তু প্যাশেন্টের প্রয়োজনে আমি টেক্সটবুক ম্যানেজমেন্টের বাইরেও অনেক কিছু করি।
পছন্দের মানুষগুলোকে যখন তাদের প্রত্যাশিত ফল এনে দিতে পারি, মনটা অনেক ভাল লাগে।
এই পোস্টটা দু সপ্তাহ আগে দিতাম, কিন্তু চেম্বারের ব্যস্ততা ও ট্যুরের কারনে আর দেয়া হয় নি।
রায়হান ভাই-ময়না আপুর মধ্যে যে বিষয়টা আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে তা হচ্ছে, আপুর কোথায় কি সমস্যা সব ভাইয়ের মুখস্ত এবং প্রতিটা সমস্যা নিয়েই ভাইয়া নিজে পড়াশোনা করে নিউট্রিশনাল ম্যানেজমেন্টের চেষ্টা করেন। এত বেশি কেয়ারিং স্বামী আসলে খুব একটা দেখা যায় না।
ভাইয়া-আপু ভাল থাকুক, ভাল থাকুক নতুন করে পৃথিবীতে আসা সিম্যাগ শিশুরা!!