সিম্যাগ বেবি: সাক্সেস স্টোরি – ১৪
সকাল সকাল সুসংবাদ।
গত রাতে আমাকে আমার একজন সিম্যাগ প্রোটোকলে থাকা প্যাশেন্ট, হুমায়রা কল করে বলেছিলেন তার একটু কেমন কেমন যেন লাগছে, সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই ডেলিভারি হতে পারে।
আমি প্যাশেন্টের হেলথ রেকর্ডস ওয়াটস্যাপে দেখে জানালাম ভয়ের কিছু নেই, বাবু আকারে একটু বড় (৩.৮ কেজির কাছাকাছি হবে), মাথা ঠান্ডা রেখে ধৈর্য ধরতে এবং আজকে ডাক্তারের কাছে যেতে।
সকালবেলা ওনার স্বামী বাসা থেকে বের হয়েছিলেন বাইরে যেতে, এরমধ্যে ওনাকে বাসা থেকে কল দেয়া হয় হুমায়রার পেইন উঠেছে। বাসায় যেতে ওনার সময় লাগলো ৪৫ মিনিট, এর মধ্যেই কোন মেডিক্যাল সাপোর্ট ছাড়াই বাসায় মা-শ্বাশুড়ির উপস্থিতিতে ন্যাচারাল ডেলিভারি হয়ে গেছে, পৃথিবীতে এসেছে নতুন সিম্যাগ শিশু।
এই বাচ্চার মায়ের বয়স ২৩, জীবনের এই চমৎকার সময়ে সহজ মাতৃত্বের মত এক রহমত উপহার হিসেবে পেলো সে।
মা ও শিশু এখন সম্পুর্ন সুস্থ আলহামদুলিল্লাহ, তবু মেডিক্যাল চেকাপের জন্য চিকিৎসকের কাছে নেয়ার পরামর্শ দিলাম।
আল্লাহ এই শিশু ও তার পরিবারকে বরকতময় জীবন দিক।
আমার মূল লক্ষ্য এটাই। ডেলিভারিকে আমরা এতটাই সহজ ও ঝুকিমুক্ত করতে চাই যেন অধিকাংশ মেয়ে একজন মিডওয়াইফ আর মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্টের সহায়তায়ই বাসায় নিরাপদে সন্তান প্রসব করতে পারেন। ইনশা আল্লাহ, একদিন হয়তো এমন দিন আসবে যখন সব মায়েরা প্রেগন্যান্সিতে ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট-ডাক্তারের
পরামর্শ নেবেন আর ডেলিভারি হবে বাসায়।
পাশাপাশি, আমরা মাথায় রাখবো, যেকোন প্রসবকালীন প্রয়োজনে প্রথম যে ব্যক্তিটির সঙ্গে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে, তিনি হচ্ছেন ডাক্তার। আপাতত বাড়িতে ডেলিভারির চেয়ে ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে ডেলিভারিই অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।
কিন্তু বেশিরভাগ নারী যখন অপটিমাম ফিটনেসের কাছাকাছি থাকবে, কেবল তখনই সম্ভব হবে ঘরে ঘরে স্বতঃস্ফূর্ত প্রসব। ইনশা আল্লাহ, এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাবো ভবিষ্যতেও।
আমাদের মেয়েরা সহজে মা হোক, আমাদের সন্তানেরা দুনিয়াতে আসুক সুস্থতার সাথে।