সিম্যাগ বেবি: সাক্সেস স্টোরি – ১৬
এই সিম্যাগ বাবুটার নাম ইয়াজরিন আমিনা চৌধুরী আয়শা ❤️❤️
আয়শার আম্মু আমার প্যাশেন্ট, স্ত্রীর ইমপ্রুভমেন্ট দেখে আয়শার আব্বুও রিসেন্টলি আমার প্যাশেন্ট হয়েছেন।
আয়শার আম্মু যখন প্রথম আমার কনসাল্টেশান নেন তখন তিনি হাইপোথাইরয়েডিজম, লো প্রজেস্টেরন, ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েন্সি এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের সমস্যায় ভুগছিলেন।
প্রথম আপুকে দেখে ভাবলাম, আল্লাহই জানে সিম্যাগে ওনার নরমাল হবে কি না, আপাতত প্রেগন্যান্সিটা টিকলেই আলহামদুলিল্লাহ।
আমার প্ল্যান ছিল, এই প্যাশেন্টের ওজন কোনমতেই ৯ কেজির বেশি বাড়তে দেয়া যাবে না তাহলে আর জেস্টেশনাল ডায়বেটিস ঠেকানো যাবে না। আর জেস্টেশনাল ডায়বেটিস একাই ন্যাচারাল ডেলিভারির সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়।
শেষ পর্যন্ত আপু ও তার ফ্যামিলি যথেষ্ট নার্ভাস হয়ে সি সেকশন করাতে চাইলেও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর ডাঃ রজত কুমার বিশ্বাস রোগীর পরিবারের চাপকে উপেক্ষা করে নিজের ক্লিনিক্যাল ডিসিশানের ওপর অটল থাকেন এবং নরমাল ডেলিভারি করানোর সিদ্ধান্ত নেন।
ডাঃ রজতের দৃঢ় প্রত্যয়ের কারনেই শেষ পর্যন্ত এই ডেলিভারিটা নরমালে করা সম্ভব হয়।
শুনুন প্যাশেন্টের ডেসক্রিপশনঃ
ভাইয়া আসসালামুআলাইকুম, আমি আর বাবু এখন আলহামদুলিল্লাহ আগের চেয়ে ভালো। বৃহস্পতিবার বাসায় চলে এসেছি। আপনার জন্য অনেক দোয়া ভাইয়া আপনিও এ বোনটাকে আর ভাগ্নিটাকে দোয়ায় রাখবেন।
আমার সবচেয়ে ভালো লাগে কী ভাইয়া জানেন, আমার আপনার সিম্যাগ প্রোটোকল এ আলহামদুলিল্লাহ অনেক বিশ্বাস ছিলো আর আমিও চেস্টা করেছি সব ফলো করার,তবে শেষ একমাস মুখে রুচি ছিলোনা শরীর ও অনেক ক্লান্ত লাগতো বলে খুব বেশি পরিমানে প্রোটিন ইনটেক করতে পারিনি, সরি সেজন্য। But overall it was a nice journey with you. আমি এ শুকরিয়া আল্লাহর কাছে আদায় করে শেষ করতে পারবোনা। পুরা প্র্যাগনেন্সিতে বিশেষ করে আপনাকে দেখানোর পর হতে আমার সেরকম কোনো অসুস্থতা অনুভব ই হয়নি শরীর ও অনেক ঝরঝরে লাগতো ভাইয়া। আমার আম্মা প্রথম দিকে খুব বিরক্ত ছিলো আমার ডায়েট রুটিন নিয়ে কারন উনি তখনও আমাকে সামনা সামনি দেখেন নি, পরে চট্টগ্রাম আসার পরে যখন উনি দেখলেন আমি মাশা আল্লাহ এতটা সুস্থ স্বাভাবিক তারপর উনিই আমাকে ডায়েট এর ব্যাপারে বেস্ট সাপোর্ট দিয়েছেন। আবার তমাল আমার হাজব্যান্ড ও প্রথম দিকে সামান্য কনফিউজড ছিলো যে ডায়েট রুটিন টা আসলে কতটা কাজে দিবে, কিন্তু ও আমার সাথে থাকাতে কিছু দিন পরই সে আমার সুস্থতা দেখে ইমপ্রেসড, এজন্যই সে আপনার প্যাশেন্ট হয়ে গেছে এখন ভাইয়া, আলহামদুলিল্লাহ।
৩৪ বছর বয়সী এই আপুর প্রথম বেবি আয়শা। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।
যারা ন্যাচারাল ডেলিভারিতে আগ্রহী তারা অবশ্যই প্রেগন্যান্সি প্ল্যানে যাবার ৬ মাস পর থেকে পেটের চর্বি কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করবেন, কোর, থাই ও হিপ মাসলের ব্যায়াম করবেন, ভিটামিন ডি নেবেন।
প্রেগন্যান্সির পর সিম্যাগ প্রোটোকলে চলে আসবেন, এখন পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে সিম্যাগের সাকসেস রেট ৯০% এর কিছু কম।
সুস্থ ও স্বাভাবিক মাতৃত্ব সবার অধিকার।