Top

মাইনুল হক মাহীর ডায়বেটিস থেকে সুস্থ জীবনে ফেরার গল্প

Sajal’s Diet Falsafa / Success Stories  / Diabetes  / মাইনুল হক মাহীর ডায়বেটিস থেকে সুস্থ জীবনে ফেরার গল্প

মাইনুল হক মাহীর ডায়বেটিস থেকে সুস্থ জীবনে ফেরার গল্প

২০২২ এর সেপ্টেম্বর এ প্রথম জানতে পারি আমার ডায়াবেটিস আছে। তখন প্রচণ্ড মানসিক চাপ ও শারীরিক অসুস্থতা ফীল করছিলাম।
যখন জানতে পারি, বেশ ভালো ভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। তবে আশা হারাই নাই।
তখন থেকে আমার হেলথি লাইফস্টাইল এ ফেরার জার্নি শুরু।
আমার ওজন ছিল ১০০ কেজি এর উপরে। ওষুধের মধ্যে ছিলাম আর হাঁটার ট্রাই করতাম। তবে কোন ভাবেই ডায়াবেটিস কন্ট্রোল হচ্ছিল না। হাঁটার পাশাপাশি শুরু করলাম জুন ২০২৩ সালে জিম এ যাওয়া।
এবং নিজের মতো করে ডায়েট প্ল্যান করে খাওয়া দাওয়া আর জিম করতাম। ডায়াবেটিস কন্ট্রোল এ থাকত বাট ওষুধ তখনও ডক্টর এর ডোস কমায়ে দিয়েছিল।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমার ওজন কোন ভাবেই কমছিল না। ১০০ থেকে ৯৯ এ গিয়ে আটকে আছে। ঠিক এই সময় আমার মনে হলো, আসলে একটু এক্সপার্ট কারো পরামর্শ নেয়া দরকার। সেই সুবাধে কলিগ এর মাধ্যমে ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট মুহাম্মাদ সজল ভাই এর রেফারেন্স পেলাম।
এখনও মনে আছে, ২৯ নভেম্বর ২০২৩ এ আমি দেখাই ভাইয়াকে। সব টেস্ট দেখার পর, আমাকে চার্ট করে দিলো। আমি শুরু করলাম ফলো করা। প্রথমে মেইনটেন করা ডিফিকাল্ট হলেও, আমি ট্রাই করেছি সম্পূর্ণভাবে মেইনটেন করার।
ওনার ডায়েট ফলো করার পরই একটা চেঞ্জ দেখা স্টার্ট করি, ১ মাস পর থেকেই। ওজন কমানোর যে ৬ মাসের চেষ্টা করেছিলাম, ভাই এর ডায়েট ফলো করে ওজন কমা শুরু করেছে। আমাদের টার্গেট ছিলো, ওজনের সাথে সাথে ডায়াবেটিস ফ্রি করা। ওষুধ ছাড়া নরমাল জীবন যাপন।
এবং ৯ মাস পর, ৪ বার কনসালটেশন er পর, ভাই এর মুখে Congratulations শুনলাম। তিনি বললেন, আমি এখন ডায়াবেটিস ফ্রি। লাস্ট ৪ মাস কোন ডায়াবেটিস মেডিসিন নেই নি। গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন রিডিং ৫.৬%। এর আগে তা ৫.১% ছিল, এজন্য আমাকে এর আগের কনসাল্টেশনে দিনে প্রায় ৩০০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট খেতে দিয়ে ভাই পরীক্ষা করেন যে আসলে আমার খাবার পরের র্যান্ডম সুগার ও এভারেজ ব্লাড সুগার কতটুকু বাড়ে।
সব মিলিয়ে খুবই ভালো আছি। এ যাত্রায় ওজন কমিয়েছি প্রায় ১৭ কেজির মতো।
-মাইনুল হক মাহী
আমার বক্তব্যঃ
মাহী ভাই অক্ষরে অক্ষরে যা বলেছি তা করে গেছেন, এমনকি প্রশ্নও করেন নাই কেন করবেন।
মাহী ভাইয়ের ডেডিকেশান লেভেল খুব কম মানুষেরই থাকে। তার অর্ধেক ডেডিকেশান আমাদের মেজরিটি প্যাশেন্টের থাকলে দেশ থেকে টাইপ ২ ডায়বেটিসের অভিশাপ অনেক কমে যেত।
ডায়বেটিস আসলেই রেমিশন হয়েছে কিনা তা বুঝতে তাকে ওজিটিটি, গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় বায়োকেমিক্যাল টেস্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। কোন কোন টেস্ট একাধিকবার করা হয়েছে।
আমরা মাহী ভাইসহ আমাদের সমস্ত রোগীদের সুস্থতা, সাফল্য ও নেক হায়াতের জন্য দোয়া করি।
Share
tanzima