সিমি আপুর হরমোনাল ইমব্যালেন্স, ক্রনিক স্ট্রেস, গাট প্রবলেমসহ নানা জটিল সমস্যা থেকে সুস্থ হবার জার্নি
সিমি ২২ বছরের একজন মেডিকেলের স্টুডেন্ট। সে যখন প্রথম চেম্বারে আসে তখন তার ওজন ছিল ৫৮.৬ কেজি এবং উচ্চতা ছিল ৫’৩”। তখন আলসার , H.Pylori, IBS-D ও গাট প্রবলেমের জন্য ওর ইমিউন সিস্টেমের খুবই খারাপ অবস্থা ছিলো। ২০১৮ সাল থেকে সে H.Pylori এবং ২০২০ থেকে PCOS এ ভুগছিলো। এরপর তার থেকে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানিতে চাইলে সে জানায়, তার রিকেটশিয়ার সমস্যা আছে, পিরিয়ড সাইকেল সব সময় লেট হয় এবং এ সময় পেটে অনেক ব্যথা হয়, ক্রনিক স্ট্রেসে ভুগছে। ২০২৩ এর জানুয়ারীতে আবার ফ্যাটি লিভার ধরা পরে। অবাঞ্চিত লোম ছিলো এবং স্কিনে সমস্যা ছিলো। তার কথা থেকে আরো বুঝতে পারলাম ওর ভিটামিন-ডি, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক এর অভাব আছে, এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন লেভেল লো ছিলো। তার শারীরিক অবস্থার প্রভাব তার পড়াশুনায় পড়ছিলো। মেডিকেলের পড়াশুনার চাপ নিতে পারছিলো না।
ক্লিনিক্যাল ইনভেস্টিকেশন শেষ করে তার H.Pylori, আলসার নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য, গাট ইম্প্রুভ করার জন্য এবং PCOS ঠিক করার লক্ষ্যে ১ মাসের জন্য ১৬ ঘন্টার ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ডায়েট প্ল্যান ও কিছু সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়। যদিও আমরা সিমির ওজন কমাতে চাই নি, কিন্তু তাকে যে ডায়েট দেয়া হল এর সাইড ইফেক্ট হিসেবে সিমি সামান্য কিছু ওজন হারাবে এটা আমরা ধরেই নিয়েছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ ১ম ফলোআপে জানা যায় ডায়েট ফলো করে তার পিরিয়ড সাইকেল ঠিক হচ্ছিলো, ইমিউন সিস্টেমও বুস্ট হয়েছিলো অনেকটা, এখন আর আগের মতো দূর্বল লাগে না, ওজন কমার জন্য শরীর হালকা মনে হচ্ছিলো, ডাইজেশনের সমস্যা অনেকটাই ইম্প্রুভ হয়েছিলো, কিন্ত তখনও পিরিয়ডের সময় ব্যথা হতো।
এবার তার আলসার ও গাট প্রব্লেম ইম্প্রুভ করার জন্য ৩ মাসের ১৮ ঘন্টার ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ডায়েট প্ল্যান দেয়া হয়।
৩ মাস পর সিমি যখন আবার ফলোআপে আসলো তখন তাকে দেখেই তার উন্নতি বোঝা যাচ্ছিলো । এবার তার ওজন এসে দাড়িয়েছে ৫২.৭৫কেজিতে। ফ্যাটি লিভার সম্পূর্ন স্বাভাবিক হয়ে গেছে, ইমিউন সিস্টেম চমৎকার, আগের মত কথায় কথায় আর সর্দি লাগে না, অবাঞ্চিত লোমের সমস্যাও একেবারেই কমে গেছে। এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন লেভেল ইম্প্রুভ হয়েছে।
রক্তের হিমোগ্লোবিন এখন ১২.৮,ফেরিটিন- ৭৪, এস্ট্রোজেন – ১৮৮.০৭, প্রোজেস্টেরন- ১০.৭৪। তার এই ইম্প্রুভমেন্ট তার চোখে মুখে ভাসছিলো। সে এখন স্ট্রেস ম্যানেজ করতে পারছে।
যেহেতু তার প্রায় অনেক সমস্যা এখন নিয়ন্ত্রনে আর কিছু পুরোপুরিই ঠিক হয়ে গেছে তাই এই ফলোআপে আমরা তার এই উন্নতিগুলো ধরে রাখার জন্য এবং পিরিয়ড সাইকেল নিয়মিত রাখার জন্য আবারো একটি ১৬ ঘন্টার লো-কার্ব ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ডায়েট দেই, কিছু সাপ্লিমেন্ট পরিবর্তন করে দেই এবং সাথে কিছু বেসিক স্ট্রেন্থ ট্রেইনিং করতে দেই।
ইনশাআল্লাহ ৩ মাস পরে নেক্সট ফলোআপে তার ইম্প্রুভমেন্ট আরও স্পষ্ট হবে। আমরা তার সার্বিক সুস্থতা কামনা করছি যেন সে আবার তার মেডিকেল জীবনে ভালভাবে ফিরতে পারে।